Search This Blog

Monday, January 14, 2019

অরন্যদেবের জগত - প্রতিম দাস





আগুন নিয়ে খেলা কমিক্সটি আমার ব্লগেই আছে। ইচ্ছে হলে পড়তে পারেন এই লিঙ্কে ক্লিক করে । 








এই বিরল কমিকস টি পড়তে পারেন এই লিঙ্কে ক্লিক করে




অরন্যদেবের জগত এখন থেকে ফ্যান্টমের জগত










Saturday, January 12, 2019

Vampire এনসাইক্লোপিডিয়া - প্রতিম দাস

MATTHEW BUNSON রচিত The Vampire Encyclopedia বই এর সূত্র ধরে এই লেখা । প্রকাশিত হয়েছিল GRAMERCY BOOKS New York থেকে ১৯৯৩ সালে । 

Abbott and Costello Meet Frankenstein
১৯৪৮ সালে  ইউনিভার্সাল (ইন্টারন্যাশনাল)নির্মিত এই সিনেমাটিকে সবচেয়ে সফল ভ্যাম্পায়ার কমেডি বলা হয়ে থাকে।    চার্লস বারটন  দ্বারা পরিচালিত, চলচ্চিত্রটিতে সেই যুগের ভয়ঙ্কর সিনেমার সাথে যুক্ত এবং    পরিচিত বেশ কয়েকজন তারকা   অভিনয় করেছিলেন । যার মধ্যে উলফম্যান খ্যাত লন চ্যানি, জুনিয়র  এবং ড্র্যাকুলার চরিত্রাভিনেতা বেলা লুগোসির নাম উল্লেখ্য ১৯৩১ সালের পর লুগোসি পুনরায় তার জীবনের সবচেয়ে বিখ্যাত ভূমিকাতে   অভিনয় করেন।   ড্র্যাকুলার চরিত্রে , জন ক্যারাডিনের অভিনয় করার কথা ছিল প্রথমে । উনি নিজে থেকেই সরে যান।    গ্লেন স্ট্রেঞ্জ অভিনয় করেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন সৃষ্ট দানবের চরিত্রে । এই ভুমিকায় অভিনয়ের জন্য আগে থেকেই জন্য উনার খাতি ছিল।  
 উদ্ভট পাগলামোর জন্য বিখ্যাত এই সিনেমার কাহিনীতে দেখা যায় ড্রাকুলা দানবটির জন্য একটি সহজ সরল মানুষের    মস্তিষ্কের খোঁজ করছেন। যার সাহায্যে দানবটিকে সহজে    নিয়ন্ত্রন করা যাবে ।  হয়। উইলবার ব্রাউন,  নামক এই মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেন লৌ কস্টেলো ।  ড্রাকুলা অপহরণ করে ব্রাউন কে। তাকে বাঁচাতে যায় উলফম্যান আর চিকের চরিত্রে অভিনয় করা বাড অ্যাবট । তারপর পূর্ণিমার রাতে যে জগঝম্প কান্ডকারখানা ঘটে সেটাই এই কাহিনীর মূল ইউ এস পি ।
 এই চলচ্চিত্রটির নির্মাণ প্রমান করে ড্রাকুলার মতো ভয়াবহ চরিত্রকে নিয়ে কমেডি বানানো সম্ভব ।   
The Adventure of the Sussex Vampire
স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা একটি শার্লক হোমস রহস্য কাহিনী । প্রকাশিত হয়েছিল স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিনে, ১৯২৪ সালে একসাথে প্রকাশিত হয়েছিল কেসবুক অফ শার্লক হোমস গ্রন্থে । এক দক্ষিন আমেরিকান ভদ্রমহিলাকে দেখতে পাওয়া যায় তার শিশু সন্তানের রক্ত পান করতে । মনে করা হয় এটী একটি ভ্যাম্পায়ারিজমের ঘটনা । তদন্তে নামেন  গোয়েন্দা শার্লক এবং ডঃ ওয়াটসন । একটি প্যারালাইজড কুকুর, দক্ষিন আমেরিকার শিকার সংক্রান্ত কিছু সামগ্রী, এক অনুশোচনাগ্রস্থ স্বামী, এক ক্রুদ্ধ রুষ্ট প্রথম সন্তান সব মিলিয়ে খোঁজ মেলে কাহিনীর আসল রহস্যের । এ কাহিনী এক অদম্য মাতৃসত্তার ।
লাস্ট ভ্যাম্পায়ার নামে এই গল্পটির টেলিভিশন চিত্রায়ন হয়েছিল । হোমসের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জেরেমি ব্রেট ।বিবিসি রেডিও ফোরেও এর নাট্যরুপ প্রচারিত হয়েছিল ১৯৯৪ সালে ।
...

Alucard
১৯৪৩ সালে ইউনিভার্সাল পিকচার্স এর সিনেমা ‘সন অফ ড্রাকুলা’তে এই নামটি পাওয়া যায় । কাউন্ট ড্রাকুলা এই নাম পুরো সিনেমায় একাধিকবার ব্যবহার করেছেন । এর ফলে এক অদ্ভুত রকমের কমেডির সৃষ্টি হয়েছে।  ইংরেজি ড্রাকুলা বানানটিকে উলটো করে উচ্চারন করলে এই নাম পাওয়া যায় । অভিনয় করেছিলেন লন চ্যানি জুনিয়র ।

Aluga[Aluca]
ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা শয়তানকে এই নামে ডাকা হয় । অর্থ ঘোড়া-জোঁক । ল্যাটিন ভাষায় যার থেকে সাঙ্গুইসুগা শব্দটি জন্ম নিয়েছে । অর্থ রক্তচোষা । অ্যালুগা শব্দটির সাথে অ্যারাবিয়ান আল্গুল বা ঘৌল এর সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয় । তবে সাধারণত রক্তখেকো শয়তান বা ভ্যাম্পায়ারদের শয়তান রাজাকে এই শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়ে থাকে।

Victor Ardisson
১৯০১ সালে ভিক্টর আরডিসনকে দক্ষিন ফ্রান্সের মুইতে গ্রেপ্তার করা হয় ভ্যাম্পায়ারিজমের দায়ে । একধিক কবর খোঁড়ার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে ।  তদন্তে প্রকাশ পায় এই বিকৃত মানসিকতাগ্রস্থ অপরাধীর আসল চেহারা । সে আদপেই ভ্যাম্পায়ার ছিলনা । তবে কেন সে কবর খুঁড়তো? এর উত্তর মানুষটি ছিল নেক্রোফিলিয়াক । যে সমস্ত সুন্দরী মহিলাদের সে বাস্তব জীবনে দেখেছিল তারা মারা গেলে তাদের কবর খুঁড়ে মৃতদেহর সাথে সহবাস করতো আরডিসন । ডঃ অ্যালেক্সিস ইপৌলার্ড এই বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে একটা থিসিস লিখেছিলেন ওই একই বছরে। আরডিসনের স্থান হয় মানসিক হাসপাতালে ।

Asanbosam
আফ্রিকার ভ্যাম্পায়ার প্রজাতি । এদের কথা শোনা যায় দক্ষিন ঘানার আসান্থি এবং আইভরি কোস্ট ও টোগোর এলাকায় । ঘন জঙ্গলে বাস করে আসানবোসাম বা আসানবন্সাম স্থানীয় অনেক শিকারীই এদের দেখা পেয়েছে । আকারে সাধারন মানুষের মতো । দাঁত লোহার এবং পায়ে হুকের মতো জিনিষ থাকে । গাছের ডালে বসে থাকে। নিচ দিয়ে মানুষ গেলে ওই হুকে আটকিয়ে তাকে উঠিয়ে নেয় এবং রক্ত চুষে হত্যা করে। নারী, পুরুষ এবং ক্ষুদ্রাকৃতি আসানবোসাম আছে বলে বিশ্বাস । 

Ash
ভ্যাম্পায়ারকে মারার জন্য কিলক বানানো হয় এই অ্যাস  গাছের কাঠ দিয়ে। ইউরোপে এর বহুল প্রচলন আছে বা ছিল বলা যায়। উত্তর ইউরোপ, রাশিয়া এবং বাল্টিক এলাকায় এটি ভ্যাম্পায়ার দমনের অন্যতম হাতিয়ার । রোমান লেখক প্লিনি দ্য এল্ডার তার ন্যাচরাল হিস্ট্রি বইয়েতে লিখে গেছেন যেকোনো ধরণের শয়তান তাড়াতে অ্যাস কাঠ অতীব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস । নর্স পৌরাণিক গাথা অনুসারেও এই গাছ বিশেষ সম্মানের অধিকারী । সম্ভবত এই গাছের নামের জন্মও হয়েছে নর্সদের সুত্রে ।


Aspen
অ্যাস গাছের মতো ইউরোপের নানা এলাকায় ব্যবহার হয় ভ্যাম্পায়ার মারার কাজে। তবে এই গাছের কাঠ বেশী পছন্দের ভ্যাম্পায়ার হন্তারক দের । নেহাত না পাওয়া গেলে অন্য আছের কাঠ ব্যবহার করে । কেন এতো চাহিদা এই কাঠের? এর উত্তরে বলা যেতে পারে, বিশ্বাস করা হয়  যীশু খ্রিস্টকে যে ক্রূশে বিদ্ধ করা হয়েছিল তা নির্মিত হয়েছিল অ্যাস্পেন গাছের কাঠ দিয়ে । তারপর থেকেই নাকি ওই কাঠের বিশেষ ক্ষমতা জন্মে যায় শয়তান দমনের।

Assyria
প্রাচীন মেসোপ টেমিয়ার রাজধানী । মনে করা হয় ব্যাবিলনের সাথে সাথেই এটাও ছিল আসল ভ্যাম্পায়ার প্রথার জন্মস্থান । যদিও কেউ কেউ ইজিপ্ট অথবা মিশর কে এই সম্মান দিয়ে থাকেন।তবে আসিরিয়ার প্রাচীন সংস্কৃতি এই ধরণের প্রথার আদর্শ জন্মস্থান রুপে বিবেচিত হতেই পারে । কারন অনেক অনেক প্রমান আছে যেখানে অ্যাসিরীয়রা ভুতপ্রেতের চর্চা করতো । সাথেই তার বেশী ভাগটাই হতো শয়তান উপাসনার অঙ্গ।
নানা ধরণের ভ্যাম্পায়ারের  কথা জানা যায়  অ্যাসিরীয়দের সংস্ক্রিতিতে। যার মধ্যে আছে যেমন ভয়ানক সাত আত্মার কথা আছে তেমনি আছে একিম্মু এবং উটুক্কুর নাম একিম্মু আর উটুক্কু নাম আলাদা হলেও কার্যক্ষেত্রে এরা একে অপরের সাথেই থাকে ।
আসিরিয়া থেকেই প্রথম মরেও মরেনা বা আনডেড সত্তাদের বিষয়ে লেখালিখির প্রমান পাওয়া যায় । অনেক মন্ত্র তন্ত্র এবং ভুত তাড়ানো বিদ্যা বা এক্সরসিজম এর কথাও জানা যায়।

Aswang
ফিলিপিন্সের ভ্যাম্পায়ার প্রজাতি । বিশ্বাস অনুসারে এরা দিনের বেলায় সুন্দরী মহিলার রুপে ঘুরে বেড়ায় এবং রাতে অতি ভয়ানক উড়ন্ত শয়তানের রুপ ধারন করে । আসোয়াং রা মানুষের রুপ নিয়ে বসবাস করে যে কোনো বাড়ীতে। বিবাহ করে বাচ্চা কাচ্চার জন্মও দেয় ।
রাতে যে ভয়ানক উড়ন্ত অবয়বের রুপ নেয় তার মুখ থেকে কিকিক বা কাকাক ধরণের শব্দ শোনা যায় রক্তই এদের একমাত্র খাদ্য । যার রক্ত খাবে বলে ঠিক করে তার বাড়ীর ছাদের কোনো ফাটল দিয়ে নিজের নলের মতো জিভ ঝুলিয়ে দেয় এবং তার সাহায্যেই রক্ত চোষন করে।
এদের প্রধান শিকার শিশুরা । তবে যারা মাদুর বা চাটাই এর ধারের দিকে শুয়ে থাকে তাদের রক্ত এরা খায়না ।
এই ভ্যাম্পায়ার দের চেনা যায় এদের ফোলা পেট দেখে । যে রক্ত ওরা চুষে নেয় সবই পেতে জমা হয়ে থাকে। দেখে মনে হয় গর্ভবতী ।
ভোরের সূর্য আকাশে এলেই এরা মানুষের রুপে ফিরে যায় ।
এটাও বিশ্বাস করা হয় যদি আসোয়াং রা কোনো মানুষের ছায়াকে লেহন করে তাহলে সেই মানুষ কিছুদিনের ভেতরেই মারা যায় । আসোয়াং কে তার বাড়ীর ভেতর দেখে ফেলার অর্থ যেচে দুর্ভাগ্য আনয়ন করা ।
বগলের ভেতর রসুন রেখে দিলে এরা কাছে আসতে সাহস পায়না।

Austria
ইউরোপের এই দেশটি ভ্যাম্পায়ার বিষয়ক সাহিত্যের জন্য বিখ্যাত। ১৮৭১ সালে শেরিডান লে ফানু রচিত কারমিলা কাহিনীর প্রেক্ষাপট এই দেশের স্টাইরিয়া অঞ্চল । এই অঞ্চলে দুটি ভ্যাম্পায়ার সম্বন্ধীয় ঘটনার কথা নথিভুক্ত আছে সরকারী স্তরে। ১৯০৯ সালের অকাল্ট রিভিঊ তে প্রকাশিত হয়েছিল কাউন্টেস এলগার কাহিনী । আর একটি ঘটনা উনিশ শতকের শেষ ভাগেরযার সাথে ভ্যাম্পায়ারের সম্পর্ক ছিল বলে মনে করা হয়কাউন্টেস এলগার কাহিনী পরে কোনোদিন বলা যাবে আসুন আজ দ্বিতীয় ঘটনাটি সংক্ষেপে জেনে নিই।
এক তরুণীর হেলেবোরাস নামে এক নিষ্ঠুর কিপ্টে কাকা ছিল । বাবা মা মারা যাওয়ার কারনে মেয়েটির দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল ওই কাকার। নিজের উইলে হেলেবরাস জানান তিনি মেয়েটিকে মুক্তি দিতে পারেন একটি শর্তে । সম্পত্তির খুব সামান্য অংশ মেয়েটিকে দেওয়া হবে। এই জুলুম আটকাতে মেয়েটি আর তার স্বামী আইনজীবীর সাহায্য নেন । যা জানতে পেরে টিবি রোগে প্রায় মরো মরো হেলেবোরাস প্রতিশোধ নেবে বলে জানায় । এর কিছুদিনের  ভেতরেই ওই আইন জীবি অসুস্থ হয়ে পড়েন । অদ্ভুতভাবে হেলেবোরাসের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে দেখা যায় । যখন আইন জীবিটি  মারা যান তখন একেবারেই সুস্থ হয়ে যান হেলেবোরাস । অবশ্য লাভ কিছু হয়নি । এর কিছুদিইনের ভেতরেই হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবন্তি হয়ে হেলেবোরাস মারা যান ।

Marcus Ayrer[1417-1497]
বিখ্যাত ভ্লাদ দ্য ইম্পেলারের বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে ঐতিহাসিক যে সুত্র মেলে তা এরই লেখা বলে মনে করা হয় যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৪ই অক্টোবর ১৪৮৮ সালে। তার কাজ বর্তমানে   সংরক্ষিত আছে উইমার এর ল্যান্ডেসবিব্লিওথেকে।
১৪৮৩-৮৯ সাল অবধি নুরেম বারগে এর একটি ছোট্ট প্রেস ছিল । যেখান থেকে জার্মান লোক গল্প কথার প্যাম্ফলেট প্রকাশিত হতো । সেখান থেকেই প্রকাশিত হয়েছিল Die Geschicht Dracole Waide বা  The hIstory of Voiecod Dracula নামের পুস্তিকাটি।   


The Mysterious Stranger

আমার কথাগুলো একটু শোন! সেই কখন থেকে আমি উদভ্রান্তের মতো পাইচারী করেই চলেছি ! একটা অদ্ভুত উত্তেজনা আমাকে ঘিরে আছে – যার কোনো ব্যাখ্যা এ জগতে নেই – আমি জানিনা ঠিক কি সেটা । তখন মাঝরাত । আমি শুয়েই ছিলাম । ঘুম ছিলনা চোখের পাতায় ।   এপাশ ওপাশ করছিলাম । তারপর কখন যেন ঘুমের জগতে তলিয়ে গিয়েছিলাম। সে যে কি ঘুম কি বলবো ! এক অজানা আতঙ্ক আমার শরীরকে ঘিরে ধরেছিল ।   একাধিক দৃশ্য আমার সামনে দিয়ে একের পর এক চলে যাচ্ছিলো । আমি কুঁকড়ে গিয়েছিলাম জ্বরগ্রস্থ শিশুর মতো। জানিনা সে সময় আমি ঘুমিয়েই ছিলাম নাকি আধা জাগরণে ।  একটা স্বপ্নই দেখছিলাম মনে হয়। যদিও মনে হচ্ছিল আমি জেগেই আছি । ঘরের ভেতরে কোথা থেকে যেন জমা হয়েছিল কুয়াশার পুঞ্জ । তার ভেতর থেকে আবির্ভাব হলো নাইট আজ্জোর। অনেকটা সময় আমার দিকে উনি একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর একটা পা ভাঁজ করে আমার পাশে বসলেন এবং মুখটা নামিয়ে এনে আমার ঘাড়ের পাশে চুম্বনের ভঙ্গীতে ঠোঁট ছোঁয়ালেন । অনেকক্ষণ ধরে থেকেই গেলেন ওই অবস্থায়। আমি মৃদু একটা যন্ত্রনা অনুভব করছিলাম । যা ধীরে ধীরে বাড়ছিল। একসময় সেটা সহ্যের বাইরে চলে গেল। থাকতে না পেরে সর্বশক্তি দিয়ে ওই দৃশ্যটাকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করলাম । সফলও হলাম সে প্রচেষ্টায় । অনেকটা সময় ব্যয় হলো । নিশ্চিত একটা চিৎকার আমার মুখ থেকে বেড়িয়ে এসেছিল, যার কারনেই ঘোরটা কেটে যায়। একটু ধাতস্থ হতেই এক নামহীন কুসংস্কারের ছায়া আমার শরীরে খেলে বেড়াতে থাকলো – কি করে বোঝাই তোমাকে! আমার কেন জানিনা মনে হচ্ছিলো চোখ খুললেই আমি দেখতে পাবো আজ্জো আমার পাশেই বাসে আছেন । সেটাই হলো ! তারপর ওই দরজা দিয়ে আজ্জোর অবয়ব কুয়াশা সমেত মিলিয়ে গেল !

“হুম বুঝতেই পারছি বন্ধু তুমি বেশ ভালোমতোই স্বপ্নের জগতে ডুবে গিয়েছি...” বার্থা কথাটা শেষ করার আগেই থেকে গেল। ফ্রাঞ্জিস্কার গলার দিকে ওর চোখ । “আরে, ওটা কি?” চেঁচিয়ে উঠলো সে । “এরকম আগেতো কখনো দেখিনি! অদ্ভুত !! তোমার গলায় লাল দাগ কেন !”

ওপরে যে লেখাটুকু পড়লেন তার লেখক অজ্ঞাত । গল্পের নাম “দ্য মিস্টিরিয়াস স্ট্রেঞ্জার” ।   ১৮৬০ সালে জার্মান ভাষায় মূল রচনা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ‘অডস অ্যান্ড এন্ডস’ ম্যাগাজিনে । ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’ কাহিনীর সাথে এর লক্ষনীয় মিল খুঁজে পাওয়া যায় । মনে করা হয় এটা ওই বিখ্যাত উপন্যাসের ‘ভার্চুয়াল প্রোটোটাইপ’ । স্টোকার নিশ্চিতভাবেই এই কাহিনীকে তার লেখনীর অনুপ্রেরনা রুপে নিয়েছিলেন । এই কাহিনীর প্রেক্ষাপটও সেই কারপেথিয়ান মাউন্টেন । কাহিনীর নায়ক বা খলনায়ক কাউন্ট আজ্জো ভন ক্লাটকা । যিনি তার শিকার হিসাবে বেছে নেন মহিলাদের । নেকড়েদের নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতাও আছে তার । চরিত্রটির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, “বয়স চল্লিশ, লম্বা এবং দারুন রোগা......ধুসর চোখের তারায় শীতল দৃষ্টির সাথে মিশে আছে ধূর্ততা ও চাতুরী । ওই দৃষ্টির দিকে বেশীক্ষন তাকিয়ে থাকা বেশ মুশকিল।”