Search This Blog

Monday, May 25, 2020

ডেরেক অ্যাকোরার ঘোস্ট হান্টিং এর জগত - আন-অফিশিয়াল অনুবাদ প্রতিম দাস



সূচনা

Ghost hunting with Derek Acorah
অনুবাদ - প্রতিম দাস

আমার নাম ডেরেক এ্যাকোরা। আমি একজন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা এবং আত্মা দর্শনকারী মিডিয়াম। গত কয়েক বছর ধরে আমি নানারকম প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন করেছি ।আর সেসবের কথাই এই লেখনীতে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আশা করব, এই লেখা আপনাদেরকে ভবিষ্যতে ভূত খুঁজে বার করতে সাহায্য করবে।
ঘোস্ট হান্টার হওয়ার ইচ্ছে যাদের আছে আশা করছি তাদের এই লেখা কাজে লাগবে।

আমি খুব ছোটবেলাতেই জানতে পেরেছিলাম যে   তেনাদের সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করতে পারি । ছোটবেলায় আমার ঠাকুমার বাড়িতে আমার পরিবারের সাথে থাকতাম। সেই বাড়িতেই একদিন দেখতে পেলাম একতলার সিঁড়ির কাছে কেউ একটা দাঁড়িয়ে আছে। কিছু একটা বলবার চেষ্টা করছেন আমাকে এবং আমার দিকেই এগিয়ে আসছেন । আমার মনে হলো উনি যেন আমার মাথার চুল নেড়ে দিলেন। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এবং সিঁড়ি দিয়ে সোজা দৌড়ে নেমে গিয়েছিলাম ঠাকুমার কাছে। বলেছিলাম একজন অদ্ভুত মানুষ আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে । আমার ঠাকুমা এবং আমার মা দ্রুত উঠে গিয়েছিলেন ওপরে কিন্তু  সেখানে কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি। ঠাকুরমা জানতে চেয়েছেন যে লোকটাকে তুমি দেখলে সে কেমন দেখতে । আমি জানিয়েছিলাম সেই মানুষটাকে কেমন দেখতে। আর এই কথা বলার পরেই আমার মা এবং ঠাকুমা একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন ।একটু বাদে একটা বড় টিমের ট্রাঙ্ক রান্নাঘরের সেলফ এর ওপর থেকে নামিয়ে ছিলেন ঠাকুমা এবং একটা ফটোগ্রাফ দেখিয়েছিলেন আমাকে। সেই ফটোটা দেখে চমকে গিয়েছিলাম কারণ ওটাই ছিল সেই মানুষটা যে আমার মাথার চুল নেড়ে দিয়ে আমার পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল। "এটাই সেই জন যাকে আমি দেখেছি ! এই সেই মানুষ যে ওখানে দাঁড়িয়ে ছিল ।" আমার ঠাকুমা আমার মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, "এরপরের দায়িত্বভার ওর কাছেই যাবে।"

উনি আমাকে বললেন, যে মানুষটাকে আমি দেখেছি সিঁড়ির কাছে তিনি আমার দাদু। যিনি আমা জন্মের আগেই মারা গিয়েছিলেন। উনি আমাকে এটাও বললেন, আমি ভবিষ্যতে এমন অনেক মানুষকে দেখতে পাব, যারা এই জগত ত্যাগ করে অন্য জগতে চলে গেছেন। তাদের দেখে আমি যেন ভয় না পাই। সত্যি বলতে, সেই সময় আমি কথাটার মানে বুঝতে পারিনি। আমি জানতামও না যে আমার ঠাকুমা নিজেও একজন মিডিয়াম ছিলেন। আমি শুধু এটাই দেখতাম প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ওই বাড়িতে আসতেন, ঠাকুমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতেন এবং বেশ হাসিখুশি মুখেই ওখান থেকে বিদায় নিতেন। কিন্তু আমি কোনদিন জানতে পারিনি ঠাকুমা ওদের সাথে ঠিক কি নিয়ে কথা বলতেন ।
যখন একটু বড় হয়ে উঠলাম ওই ঘটনার কথা আমি ভুলে গেলাম। সেই সময় আমার খুব প্রিয় জিনিস হয়ে উঠল ফুটবল খেলা। আমি সবাইকেই বলতাম যে আমি বড় হয়ে ফুটবলার হব। জুনিয়র থেকে সিনিয়র স্কুলে গেলাম যা আমার বাবাকে অত্যন্ত খুশি করেছিল। কারণ এবার ফুটবলটা আরো ভাল ভাবে খেলতে পারব। তিনি নিজেও ছিলেন একজন ভালো ফুটবলার। বাবার সঙ্গে অনেকক্ষণ ফুটবল খেলা নিয়ে কথা হত সুযোগ পেলেই। আমরা একসঙ্গে ফুটবল খেলা দেখতাম এবং আমার অন্যান্য কাকারাও ফুটবল খেলা বেশ ভালোবাসতেন। সকলেই ছিলেন বিশেষ করে এভারটন ফুটবল ক্লাবের সমর্থক। এরপর এমন একটি ঘটনা ঘটে যাতে উনি খুব দুঃখ পা্ন। আমি এভারটনের বিরোধী দল লিভারপুলে ১৫ বছর বয়সে যোগদান করি। বেশ কয়েক বছর ধরে আমি প্রফেশনাল ফুটবল খেলেছি। লিভারপুল এফসি ছেড়ে দিয়ে আমি অন্যান্য ক্লাবেও খেলেছি। যার মধ্যে ছিল রেক্স হ্যাম, গ্লেন্টোরান এবং স্টকহোম । দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডের ইউ এস সি লায়ন ক্লাবে আমি শেষ ফুটবল খেলি। এই সময় আমার সাথে আমার প্রথম স্ত্রী এর দেখা হয়। নাম জোয়ান। তাকে আমি বিয়েও করি এবং আমাদের ছেলে কার্লের জন্ম নেয় আমাদের অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করার ঠিক আগেই। আমার ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ হয় ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে। আমি ব্রিটেনে ফিরে আসি আমার পরিবার সমেত ।
ফুটবল আমার পেশা ছিল বটে, কিন্তু ছোটবেলায় সেই প্রথম ভূত দেখার অভিজ্ঞতাটা আমার মন থেকে একবারে মুছে যায়নি। যার কথা আমি আমার প্রথম বই “দ্য সাইকিক ওয়ার্ল্ড অফ ডেরেক অ্যাকোরা”তে লিখেছি । তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার নিয়তি কোথায় বাঁধা আছে। আমাকে আত্মাদের নিয়েই কাজ করতে হবে । সেই ছোটবালাতেই যে নিয়তি স্থির হয়ে গিয়েছিল সেটার কাজই এবার শুরু করতে হল।
এই বিশেষ ক্ষমতার জোরে আমি অন্যদেরকে সাহায্য করার কাজ শুরু করি। ঠিক যেমনটা আমার ঠাকুমা করতেন । এই সময়ে জোয়ান এবং আমার জীবনের চলার পথ আলাদা হয়ে যায়। আমি আমার মতন করে জীবন কাটাতে শুরু করি। মানুষের সঙ্গে তাদের জীবনের গোপন কথা ভাগবাটোয়ারা করতে থাকি এবং আমি একসময় বুঝতে পারি যে আমার ভালই চাহিদা হচ্ছে। প্রত্যেকদিনই আমাকে আর তাদের নিয়ে কাজ করতে হত । এর ফলে আমি যে তৃপ্তি পেতাম সেটা সত্যিই ফুটবল খেলে কোনদিন পাইনি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার ঠাকুমা ঠিকই বলেছিলেন, আমার কাছেই পরবর্তী দায়িত্বভার আসবে। এসব কথা আমি আমার দ্বিতীয় বই “সাইকিক অ্যাডভেঞ্চার অফ ডেরেক অ্যাকোরা”তে লিখেছি। যেখানে জানিয়েছি আমি কি করে আমার আত্মা দেখার পথপ্রদর্শক স্যামির দেখা পাই । রেডিও এবং টেলিভিশনে কাজ করার শুরুটাও হয় এই সময়। ভেট্টে ফিল্ডিং এবং কার্ল বেটি দম্পতি শুরু করেন লিভিং টিভির সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যারানরমাল প্রোগ্রাম “মোস্ট হ্নটেড” । এই সুত্রে আমি দেশের নানান জায়গায় ঘুরে ঘুরে ঘোস্ট হান্টিং করতাম । যদিও আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন করতেই ভালবাসতাম । মোস্ট ওয়ান্টেডের ইনভেস্টিগেশন আমার দক্ষতাকে প্রতিষ্ঠা করে, শানিত করে।
সেসব কথাই এবার আপনাদেরকে জানাব। জানাব আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা। জানাব ঘোস্ট হান্টিং ব্যাপারটা আসলে কী?

প্রস্তুতি

 একজন সফল ঘোস্ট হান্টার হতে গেলে এই প্রস্তুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যা একই সাথে কোন আত্মার উপস্থিতি সন্তোষজনক প্রমাণ দিতে পারে এবং অন্যান্য নানান ভাবনা বা বিরোধী মতামতকে দূরে সরাতে পারে সেই প্রস্তুতির প্রধান অঙ্গ হল যাচাই করার নানান সরঞ্জাম।

  একজন স্পিরিট মিডিয়াম হিসাবে আমি স্বাভাবিকভাবে বা উত্তরাধিকার সুত্রে তাদের দেখার এবং শোনার ক্ষমতা লাভ করেছিলাম   আমি কোন জায়গায় গেলেই সেখানকার কোনো পুরোনোবাড়ি বা যেকোন স্থানে  পরিবেশ থেকেই আমি সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনার অস্তিত্ব বুঝতে পারি আমি মনে করি এগুলো সময়ের গায়ে আটকে থাকা ছবির মতন। আর টাকেই আত্মার জগত নিয়ে যারা চর্চা করেন তাদের ভাষায় বলা হয় রিসাইডুয়াল এনার্জি এমন কিছু আবেগ যা সময়ের সাথে সাথে চলে গেলেও সময়ের সুতোতেই আবদ্ধ হয়ে একটা ছাপ রেখে যায়।

   অনেক প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন টিম আমার মত মিডিয়ামকে সাথে নেয় তাদের তদন্ত কাজে সহায়তা করার জন্য। অর্থাৎ সরঞ্জামের তালিকায় আমিও আছি, হাঃ হাঃ।

 এই তদন্ত করার সময় অনেক কিছু জিনিস দরকার পড়ে যা একজন ঘোস্ট হান্টারের ব্যাগে থাকা উচিত যা দিয়ে সে কোন আত্মার উপস্থিতি শক্তপোক্ত প্রমাণ পেতে পারে। আসুন তাহলে দেখা যাক  কি কি সরঞ্জাম থাকা প্রয়োজন আপনার কিটব্যাগে।   

 টর্চ

 অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সরঞ্জাম হল এই টর্চ তার সাথেই রাখতে হবে চট করে বদলানো যায় এমন ব্যাটারি কারণ দুষ্টুমি করতে ভালোবাসে এমন আত্মারা টর্চের ভেতরে থাকা ব্যাটারির শক্তি শুষে নিতে পারে যার ফলে একজন অসহায় তদন্তকারী অন্ধকারের মধ্যে এদিকে-সেদিকে হাতড়ে বেড়াবে যদি না তার ব্যাগে অতিরিক্ত ব্যাটারি থাকে

নোটবুক এবং পেন

 এই দুটো জিনিস আপনাকে সাহায্য করবে তদন্ত কালীন সময়ে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে সেগুলোকে নথিবদ্ধ করে রাখতে শুধুমাত্র স্মৃতির উপর ভরসা করে থাকাটা ঠিক নয় একটা গোটা রাতের নানান তথ্যর সবকিছুই যে সকালবেলায় মনে থাকবে এটা বিজ্ঞান সম্মত ভাবে সম্ভব নয় তার ওপর যদি সারা রাত্রি ধরে অনেক রকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, তাহলে তো তার ভেতরের দু একটা বিষয় ভুলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। তাই সময়  সুযোগ পেলেই নোট করতে হবে।   এছাড়াও যে স্থানে আপনি যাচ্ছেন সেই জায়গার একটা স্কেচ করে নিতে পারলে তদন্ত করতে সুবিধা হয় উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যে বাড়িতে আপনি ঢুকছেন সেখানকার ঘরগুলোর অবস্থান, কার পাশে কোনটা, কোথায় সিঁড়ি ইত্যাদি।    

এর সাথে সাধারণ সাদা কাগজ এবং পেন্সিল নেয়াটাও জরুরি কারণ “ট্রিগার অবজেক্ট বলে যে বস্তুটি এই তদন্ত জগতে   আমরা ব্যবহার করি তাকে সাদা কাগজের উপর রেখে তার চারদিকে আউটলাইন বর্ডার এঁকে নেওয়ার দরকারও আছে।    যদি কোনো আত্মার প্রভাবে ঐ বস্তুটি অর্থাৎ ট্রিগার অবজেক্ট নড়াচড়া করে তাহলে আমরা সেটা বুঝতে পারব। ওই আউটলাইন গণ্ডির বাইরে ওটা সরে গেলেই।  ছোট কাঠের ক্রস জাতীয় জিনিসগুলো এই ট্রিগার অবজেক্টের সবচেয়ে ভালো উপাদান।  করে এছাড়াও নানা রকম জিনিস আছে যেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে

 তুলো এবং টেপ

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরি একটা বিষয় হলো যে ঘরে আপনি কাজ করবেন সেই ঘরটা চারিদিক থেকে সুরক্ষার বাতাবরণে ঘিরে ফেলা। এই সুরক্ষা এখানে কিন্তু নিরাপত্তা নয়।   এর জন্য সাধারণ তুলো এবং টেপ  কাজে লাগানো হয়। যে ঘরে তদন্ত হবে সেখানের সুক্ষ হাওয়া চলাচলের পথ বন্ধ করতে এদের প্রয়োজন।  এইরকম একটি সুরক্ষিত ঘরে ট্রিগার অবজেক্টকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় ক্যামেরাতে বা অন্য কিছুর সহায়তায় তার ছবি তোলা যায়

 মোমবাতি

 সাধারণ মোমবাতি। এটাও আপনার সাথে থাকা দরকার কারণ মোমবাতির আলোর নড়াচড়াতেই আত্মার অস্তিত্বের প্রমাণ অনেকক্ষেত্রেই পাওয়া যায় তবে তদন্ত শুরুর আগে আপনাকে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে ওই ঘরের মধ্যে হাওয়া চলাচল যেন বন্ধ হয় আর তার জন্যেই তুলো এবং টেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেগুলো ব্যবহার করলেই   হাওয়া চলাচল  কমে যাবে। না করা হলে মোমবাতির শিখা নড়বে আর সেটা তদন্তে আত্মার উপস্থিতি ভুল প্রমাণ বলে দেখানো হবে

 এর সাথে প্রত্যেক তদন্তকারীকে মাথায় রাখতে হবে জলন্ত মোমবাতি যেন   চলে যাওয়ার সময় কোন ঘরে থেকে না যায় তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে

ময়দা

প্রত্যেক তদন্তকারী কাছে এই জিনিসটাও থাকা দরকার।বিশেষ ধরণের কিছু নয় খুব সাধারণ ময়দা।  ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে দিলে সেখানে কারোর পায়ের ছাপ বা হাতের ছাপ পড়ছে কিনা দেখতে পাওয়া যাবে শুধুমাত্র মেঝে নয় যেখানেই আত্মাটির উপস্থিতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে যেমন টেবিলের উপরিভাগ সেখানেও এই ময়দা ছড়িয়ে দেওয়া দরকার তবে সব গৃহ কর্তা হয়তো   তদন্তের সময় ময়দা ছড়ানোর অনুমতি নাও দিতে পারেন, সেই জন্য পুরনো খবরের কাগজ সঙ্গে রাখবেন সেটা পেতে তার ওপর ময়দা ছড়িয়ে দেওয়া যেতেই পারে

 ওয়াকি টকি

 ওয়াকি টকি থাকাটা খুব জরুরি যাতেএকসাথে একটি বাড়িতে বেশ কয়েকজন তদন্তকারী কাজ করে তাহলে এই জিনিসটি খুব কাজে দেয় কের সাথে অপরে যোগাযোগ রাখাটা এই ধরণের তদন্তে খুব প্রয়োজন।     এর ফলে কোন রকম ভুলবোঝাবুঝির হাত থেকে বাঁচা যায়

 থার্মোমিটার

 একটি থার্মোমিটার অবশ্যই থাকা দরকার তদন্তকারীর ব্যাগে   কারণ এটির সাহায্যে ঘরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায় আমি নিজে দেখেছি  অনেকেই বড় মাপের সবুজ রঙের ঘরে ব্যবহার করা থার্মোমিটার   ব্যবহার করেন।  কিন্তু একজন সিরিয়াস ঘোস্ট হান্টারের উচিত নিজের কাছে সাথে   ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখা   এই থার্মোমিটারগুলো ঘরের প্রকৃত তাপমাত্রা দেখাতে সহায়ক হয়

এম এফ মিটার

 ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা ই এম এফ মিটার একজন ঘোস্ট হান্টারের কাছে থাকাটা খুব লাভজনক এর নির্ণায়ক মাত্রার ওঠানামা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জীর প্রমাণ দেয় সাইকোলজিস্ট এবং প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটরদের কাছে   ওই   ওঠানামা আত্মার উপস্থিতি রুপেই   জানান দেয় অনেক ক্ষেত্রে।  যখন কোন তদন্তকারী দল একটা এ এম এফ. মিটার ব্যবহার করে তখন সমস্ত রকম ইলেকট্রিসিটির উৎস, সেটা কেবল মাধ্যমেই হোক বা যে কোন ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসই হোক আগে থেকে নিজেদের তালিকায় তুলে রাখতে হবে কারণ এই ধরনের ডিভাইসগুলো ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড সৃষ্টি করে ইএমএফ মিটারে মাত্রার ওঠানামা যখন ঘটতে থাকে তখন মাথায় রাখতে হবে তদন্তকারী কোন অবস্থানে আছে এবং আশেপাশে কোন ইলেকট্রিক তার অথবা যন্ত্রাদি আছে কিনা   সব ইলেকট্রিসিটি সূত্র রবং তাদের নির্ণায়ক মাত্রা নথি ভুক্ত করার পরেও যদি আলাদা ভাবে   ২.৫ মিলিগাস মাত্রার মিটার রিডিং পাওয়া যায় তাহলে সেটাকে ভৌতিক অস্তিত্বের প্রমান বলে ধরতে হবে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি,   আমি নিজে এই ইএম এফ মিটারের সাহায্যে আত্মার উপস্থিতি কে সব সময় মেনে নিতে পারি না

 পেন্ডুলাম এবং ডাউসিং রড

 কিছু ঘোস্ট হান্টার ডাঊসিং রড   এবং পেন্ডুলাম সাথে রাখায় বিশ্বাসী । তারা মনে করেন   এই দুটি যন্ত্র ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি যা কোন   আত্মার উপস্থিতিতে   সৃষ্টি হয় তাকে অনুমান করতে সক্ষম ডাউসিং রডের  ব্যবহার অনেক বছর ধরেই চলে আসছে এক বিশেষ কাজের জন্য।   ওয়াই আকৃতির এই বস্তুটি দিয়ে একদা ভূগর্ভস্থ জলের উৎস খুঁজে বার   করা হত এখনকার দিনে মোটা তার দিয়ে যা বানানো এল আকৃতির এই রড   ব্যবহার করা হয় যার  তলার অংশটি হয় খুব ছোট এবং উচ্চতায়  বেশ লম্বা। দুহাতে একটি করে রড ধরা হয়। লম্বা  অংশটিকে সামনের দিকে সোজা করে রেখে ছোট অংশটিকে ধরে থাকতে হয়।   এরপর তদন্তকারী হাঁটতে শুরু করে।    যদি সাইকিক অ্যাক্টিভিটি ওই এলাকায় থাকে তাহলে রড গুলো   নিজে নিজে নড়তে শুরু করে এবং লম্বা অংশ একে অপরকে আড়াআড়ি ভাবে পার করে যায়    সেটাকে প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি প্রমাণ বলে ধরা হয় তবে এক্ষেত্রেও আগে থেকে খোঁজ নিতে হবে ওই এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলের উৎস বা অন্য কোনো রকম জলের স্রোত মাটির নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কিনা সাধারনত দেখা গেছে অনেক প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি জায়গা বলে পরিচিত স্থানে মাটির তলা দিয়ে এরকম জল বয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে তদন্তকারীরা যদি এই ধরনের খবরগুলো জানতে না পারেন তাহলে তারা যে তথ্য সংগ্রহ করবেন সেটা ভ্রান্ত তথ্য হবৎ।  অর্থাৎ আগে থেকে রিসার্চের একটি প্রয়োজন আছে। কিছুটা সময় নষ্ট করে এদিকে ওদিকে ঘুরে সেই জলস্রোতের পথ খুঁজতে হবে   যদি না করা হয় তাহলে ওই জলের সূত্রে ভুতের ভুল প্রমাণ মানুষের সামনে পেশ হবে

 পেন্ডুলামকে সাইকিক ইনভেস্টিগেশনে ব্যবহার করা হয় পেন্ডুলাম হল একটা দড়িতে বাঁধা ছোট্ট ওজনের বস্তু।    যা কা বা ধাতু দিয়ে বানানো হয়অথবা আমি নিজে যেটা পছন্দ করি বা ইঞ্চির হালকা চেনের সঙ্গে বাঁধা ছোট্ট কোয়াটজ ক্রিস্টাল চেনের একটি প্রান্ত ধরে পেন্ডুলামকে সোজা ঝুলাতে হয় প্রথম অবস্থায় পেন্ডুলাম যেন একদম স্থির থাকে   তারপর এর দুলুনি অনুসারে   হ্যাঁ এবং না উত্তরের নির্ধারণ করতে হয় ।     উত্তর জানাতে এটি কখনো ক্লকওয়াইজ আবার কখনো অ্যান্টি-ক্লক ওয়াইজ ডাইরেকশনে   উত্তর দেয়কখনো পাশাপাশি আবার কখনো সামনে-পেছনেও দোলে এটা যিনি হাতে ধরে ব্যবহার করছেন তার ব্যবহার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে অর্থাৎ মানুষ থেকে মানুষের ক্ষেত্রে এর উত্তর প্রদান পদ্ধতি বদল হয় একবার আপনি যদি নিজের পেন্ডুলামের হ্যাঁ এবং না এর দিকটা চিহ্নিত করে নিতে পারেন তাহলে পেন্ডুলামের সাহায্যে আপনি অনেক প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে পেয়ে যাবেন এর সাহায্যে আপনি সাইকিক ক্ষমতাসম্পন্ন এলাকার খবর সংগ্রহ করতে পারবেন ঠিক যেমন ভাবে ডাউসিং রড অ্যাক্টিভ এরিয়াকে খুঁজে দেয় এইরকম কোন শক্তি সম্পন্ন এলাকায় পৌঁছালে পেন্ডুলাম   খুব জোরে জোরে দুলবে অথবা লাট্টুর মত ঘুরপাক খাবে   এর মাত্রা আরো বেড়ে যাবে আপনি যত সেই সাইকিক এনার্জী ক্ষেত্র অথবা আত্মাটির কাছে পৌঁছাবেন সব তদন্তকারীরাই যে পেন্ডুলাম ব্যবহার করে তা নয় তবে তদন্ত ক্ষেত্রে প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশনে এই বস্তুটি বেশ আকর্ষণীয় একটি বিষয়

টেপরেকর্ডার

 টেপরেকর্ডার একটি অবশ্য প্রয়োজনীয় জিনিস যা যেকোন বক্তব্য ছাড়াও নানা ধরণের শব্দ রেকর্ড করে রাখতে পারে। যে সব  শব্দ  অনেক প্রমান  পরিবেশন করতে সক্ষম। আজ অবধি অনেক মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা থেকে একাধিক চমকপ্রদক শব্দ রেকর্ড করে শুনিয়েছেন  । যাকে  ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনন” বলা হয়ে থাকে। একধিক মানুষের ধারনা বা বিশ্বাস    ওগুলো নাকি আত্মাদের কথা বলার শব্দ।

ক্যামেরা

  আরেকটি অবশ্য প্রয়োজনীয় বস্তু যা প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটরদের কাছে থাকা উচিত তবে এটা অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ভালো লাগা না লাগার ব্যাপার বলা হয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে  ক্যামেরার সাহায্যে মানুষ কেবলমাত্র ‘অর্ব’ বা আত্মাদের প্রাথমিক রুপ পরিগ্রহের ছবি তুলতে পারে। যাকে আমি বলে থাকি ‘লাইফ লাইট’।   আর এই ছবি তোলার জন্য আমি বলব ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করা উচিত তবে শুধুমাত্র ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়েই নয়, আমার স্ত্রী আমাকে যখন কোন তদন্তের সাহায্য করেন তিনি একই সাথে সাধারণ ফ্ল্যাশ ক্যামেরা এবং ডিজিটাল ক্যামেরা দুটো দিয়ে ছবি তোলেন দুটি ভিন্নধর্মী ক্যামেরার সাহায্যে ওই ছবি তোলা হয় যাতে আত্মাদের আনাগোনা সঠিক প্রমাণ জোগাড় করা যায়্।

ট্রাইপড সহ  একটি ভিডিও ক্যামেরা থাকাটা তদন্তকারীর জন্য জরুরী।    যে ঘরে আত্মার উপস্থিতি তথ্য জোগাড় করার জন্য তদন্তকারী যাবে সেখানে কোন একটি কোনে স্থায়ীভাবে ক্যামেরাটিকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তার সাহায্যে ভাসতে থাকা অর্ব বা এক্টোপ্লাজম অথবা খুব বিরল ব্যাপার রূপে পরিচিত, জিনিসপত্র বা অন্য কিছুর নড়াচড়ার ছবি তুলতে পারা যায়।  যদি দুটো বা তিনটে ভিডিও ক্যামেরা ঘরের বিভিন্ন স্থানে রাখা যায় তাহলে পুরো ঘরটার ছবি দেখানো সম্ভব কারণ এর ফলে ঘরের যেকোন প্রান্তে কোন রকম নড়াচড়ার ঘটনা ঘটলেই   সেটা ক্যামেরায় নথিভূক্ত হবে এবং যার সাহায্যে প্রমাণ করা যাবে কোন রকম মানুষ নির্মিত ঘটনা এখানে দেখানো হচ্ছে না একটা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললে অনেক ক্ষেত্রেই এরকম প্রশ্ন ওঠে   বলা হয় কেউ হয়তো ওই নড়াচড়াগুলো ঘটাচ্ছে আর এই কেউ হয় তো”টা নিশ্চিতভাবেই একজন মানুষকেই ইঙ্গিত করে

মানুষের সেরা বন্ধু

 দীর্ঘদিন ধরে যে মানুষের সেরা বন্ধু হল তা কুকুর কুকুর কিন্তু সেরা বন্ধু হতে পারে একটি প্যারানরমাল তদন্তের সময়েও।  সব প্রাণীই সাইকিক শক্তির অধিকারী   আমরা অনেক সময় এর প্রমাণ পাই পোষা কুকুর বা বিড়াল আগে থেকেই বুঝতে পারে কখন তার মালিক কখন সদর দরজার কাছে এসে উপস্থিত হবে আমি অনেকবার অনেক মানুষের কাছ থেকে শুনেছি যে, তাদের প্রিয় পোষা কুকুর বা বিড়াল সবসময় বুঝতে পেরে গেছে খন তারা বাড়ি ফিরে আসবে এমনকি যদি তারা নির্দিষ্ট সময়ে নাও ফেরেন তবুও তারা  আগমনের সময়টা ঠিক বুঝতে পেরেছে আমার স্ত্রী   আমাকে অনেকবার বলেছে যে, আমাদের কুকুরটা তাঁর রান্নাঘরের দরজার সামনে দিয়ে পাইচারী করে আমার বাড়ি ফেরার আগে । তারপর  দরজার কাছে গিয়ে বসে থাকে   আমিও আমাদের একটি পোষা বেড়ালের গতিবিধি দেখে গোয়েনের ফিরে আসার সময়টা অনুমান করতে পারি।    গোয়েন ফিরে আসার কিছু সময় আগে থেকেই বিড়ালটা জানলায় উঠে গিয়ে সেখান থেকে সদর দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে

 এরকম অনেক গল্প শোনা যায় যেখানে   কোন প্রাণী তার মৃত মালিকের উপস্থিতি অনুভব করে এরকম   দেখা গেছে যে পাহারাদার কুকুর অনেক সময় অনেক জায়গায় প্রবেশ করতে চায় না এ রকমই একটা ঘটনা থেকে জানা যাচ্ছে যে,  সেন্ট জন সেন্টার, লিভারপুলের কাছে এক সিকিউরিটি গার্ড তার কুকুর নিয়ে প্রত্যহ পাহারা দিত  বড় কালো রঙের জার্মান শেফার্ড নাম সেবার।  যে বিখ্যাত ছিল তার অকুতোভয় মানসিকতার জন্য।    কোন অচেনা মানুষকে দেখতে পেলেই কোন রকম চিন্তা না করেই তার দিকে এগিয়ে যেত কিন্তু সেই কুকুরটাই শপিংমল এলাকার একটা বিশেষ জায়গায় কিছুতেই যেতে চাইত না চিৎকার করে গায়ের জোরে রাগ দেখিয়ে সে ওখানে যেতে না চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করত আসলে সেই জায়গাটা ছিল একটা দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা স্থান যখন ওই শপিংমল তৈরি হচ্ছিল একজন অল্প বয়সী যুবক উপর থেকে পড়ে গিয়ে ওখানে মারা যায়     তার আত্মা ওখানেই অবস্থান করে আছে  এর থেকেই আমি ভালোভাবে বুঝতে পারি যে, একজন সাইকিক তদন্তকারী বা প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর এর কাছে   কুকুর হল সবচেয়ে সেরা বন্ধু   কিছু কিছু কুকুর এই ভয় পাওয়ার মাধ্যমেই আত্মার উপস্থিতি বুঝিয়ে দিতে পারে আবার কিছু কিছু কুকুর আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারলে নিজের লেজ নাড়তে থাকে কোন একটা দিকে তাকিয়ে যেদিকে হয়তো আপনি কিছুই দেখতে পাবেন না কিন্তু সে কিছু একটা দেখতে বা বুঝতে পারে।    আবার কিছু কুকুর শুধু শুধু চিৎকার করে সামনে কিছু না থাকা সত্বেও সেদিকে বার বার   ছুটে চলে যায় এমন কোন জায়গায় যেখানে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই। সেবারের   মতন কেউ কেউ ভয় পায় যেতে চায় না কোন একটা জায়গায় তাই যদি আপনার পোষা কুকুর থাকে এরকম তদন্ত করতে গেলে অবশ্যই তাকে সঙ্গে নেবেন শুধুমাত্র আত্মার উপস্থিতি বোঝার জন্য নয় এরকম একটা বন্ধু যদি আপনার সাথে থাকে তাহলে একাকী রাত কাটাতে খুব একটা অসুবিধা হয় না

 

 এই সমস্ত ছিল আমার সাজেশন কী কী সরঞ্জাম আপনারা নেবেন যখন কোন আত্মার  খোঁজ করতে যাবেন অবশ্যই ধরে নিতে পারি যে আপনি একজন সবদিক থেকে চৌকস একজন মানুষ এবং সেই জন্য আপনি নিজে যেভাবে কাজ করতে অভ্যস্ত সেটাই করবেন আমি যা বলছি সেটাই যে করতে হবে এমন কোন মানে নেই।    এছাড়াও চাইলে সঙ্গে বাজার, কলিংবেল বা অ্যালার্ম জাতীয় আরো অনেক কিছুই ব্যবহার করতে পারেন ‘কারো’র উপস্থিতি যাচাই করার জন্য।    ইনফ্রা-রেড রশ্মি বের হয় এমন জিনিসও সাথে  রাখতে পারেন যা ইদানিংকালের সিকিউরিটি সিস্টেম হিসাবে ব্যবহার হয়  যার সাহায্যে কোন একটি অ্যালার্ম বেজে ওঠে যখন কোন অযাচিত মানুষের আগমন ঘটে একই ভাবে আত্মার উপস্থিতিতেও হয়তো এই জিনিস কাজ করতে পারে এরকম নানা সরঞ্জাম আছে, আপনি কোনটা নেবেন সেটা আপনার ওপরেই নির্ভর করবে যে জিনিসগুলোর কথা আমি বললাম সেগুলো খুবই সাধারণ জিনিস এগুলো সাথে থাকলে ঘোস্টি হান্টিং করার পর আপনি  সন্তোষজনক ফল পাবেন এটা বলতে পারি ।

আরো কিছু প্রস্তুতি

আপনার কিট ব্যাগ গোছানো হয়ে গেছে আশা করি।  তারপরেও কিছু প্রস্তুতি নেওয়া দরকার থাকে তদন্ত শুরু করার আগে এটা সব সময় মাথায় রাখবেন যে কোন রকম শব্দ বা নড়াচড়া যা আপনাকে কৌতুহলী বা উত্তেজিত করে দিতে পারে তা সবসময়ই যে কোন আত্মার উপস্থিতি হবে তা কিন্তু নয় আমি এরকম একটি ঘটনার কথা মনে করতে পারি যেখানে একটি ঝাড়লন্ঠন দুলতো যখন আত্মাদের   আগমন হত আমি সবার আগে ভালো ভাবে পরীক্ষা করে দেখি  ওই ঝাড়লন্ঠন কি যেভাবে ঝুলানো আছে । আর সেটা করতে গিয়েই চোখে পড়ে  ওপরের দিকের একটা জানালার পুরনো   পাল্লা ঢিলে হয়ে ফাঁক হইয়ে গেছে । যেখান দিয়ে    হাওয়া এসে আঘাত করে ওই ঝাড় লন্ঠনটাকে।    বলার প্রয়োজন নেই যে, কেবলমাত্র হাওয়া যেদিন বইতো সেদিনই ওই বাড়িতে ভূতের আগমন হত

 হাওয়া কোন দিক থেকে আসছে বা   যেখানে আপনি তদন্ত করতে গেছেন সেখানে হাওয়া কিভাবে চলাচল করে   সেটা সবার আগে দেখতে হবে এছাড়াও নরম কাঠের মেঝে একটা   ভুতুড়ে আবহাওয়া সৃষ্টি করার অতিসাধারণ উৎস জলের পাইপ থেকেও অদ্ভুত রকমের শব্দ পাওয়া যায় যদি বাড়িটা পুরনো হয় এছাড়াও পুরনো বাড়ির দরজার কব্জা থেকে এমন আওয়াজ বের হয় যা আপনার ঘাড়ের রোম খাড়া করে দিতে পারে এমনকি পুরনো বাড়িতে থাকা ইঁদুরদের চলাচলকে অনেক সময় আমরা কোনো মানুষের বা আত্মার চলাফেরা বলে মনে করতেই পারি এছাড়াও বাড়ির আশেপাশে থাকা বড় গাছের ডাল হাওয়াতে বাড়ির ছাদে বা জানলায় অনেক সময়েই আঘাত করে   সেই অর্থে খোঁজখবর না নেওয়া তদন্তকারী ওইসব ডালপালার শব্দ শুনে  কিন্তু ভেবে নিতেই পারে যে সেই বাড়ীতে একা নেই ছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে যখন কোন বাড়ি রাতের দিকে ঠান্ডা হয় তখন নানা রকমের শব্দ সেই বাড়ির ছাদ থেকে সৃষ্টি হয় যা অনেক সময়ই হেঁটে যাওয়ার শব্দ বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা শব্দ বলে মনে হয় যদি বাড়িতে কোন ফায়ারপ্লেস থাকে, তাহলে তার চারিদিকে যে ইটের দেওয়াল থাকে সেগুলোও ঠান্ডা হওয়ার সময় নানারকম শব্দের সৃষ্টি করতে পারে অতএব তদন্ত করার আগে আপনাকে সবকিছুই বিবেচনা করে দেখতে হবে আপনি যদি ট্রিগার অবজেক্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, সেটা কোন কাঠের ক্রশ, কয়েন, বই বা যা কিছু হোক না কেন সেটাকে সব সময় সাদা কাগজের উপর রাখবেনতদন্ত শুরু করার আগেই  পেন্সিল দিয়ে তার আউট লাইন এঁকে দিতে ভুলবেন না।    এরকম কিছু কাজ করতে গেলে ভিডিও ক্যামেরা অবশ্য প্রয়োজন আগেই বলেছি। সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে ট্রিগার অবজেক্ট সহ পুরো কাগজটাই যেন স্ক্রীনে দেখতে পাওয়া যায় যাতে কোনরকম নড়াচড়া হলেই সেটা ধরা পড়ে কারণ এর মাধ্যমে আপনি প্রমান করতে পারবেন যে ওই ট্রিগার অবজেক্টকে বাইরে থেকে কোন মানুষের হাত নাড়ায়নি এছাড়াও হাওয়া আটকানোর জন্য ঘরের ফাঁকফোকর যেমন বন্ধ করার কথা আগে বলেছি, তেমনই নজর রাখতে হবে যখন তদন্ত চলছে, তখন ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত কোনভাবেই যেন কেউ ঘরে প্রবেশ না করে কারণ তাতে ট্রিগার অবজেক্ট নড়ে যেতে পারে

 এখনকার দিনে তদন্তের অনেক আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার হয় থার্মোমিটার এর সাহায্যে কোন এক স্থানে উষ্ণতার ওঠানামা বোঝা যায় তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে পুরনো দিনের বাড়িতে কোল্ড রুম বলে একটা বিশেষ জায়গা বানানো হত যেখানে খাবার-দাবার রাখা হত। অতএব   এরকম কোন ঘর যে বাড়িতে আপনি তদন্ত করতে যাচ্ছেন সেখানে আছে কিনা সেটাও জেনে নেয়া দরকার এছাড়াও যেকোন বাড়ির কিছু কিছু ঘর   বাড়ির অন্যান্য ঘরের থেকে বেশি গরম হয় কারণ সেই সব ঘরগুলোতে সূর্যের আলো বেশি পড়ে। এগুলো মাথায় রাখতে হবে তদন্ত করার সময়, তা না হলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যেতে পারে সব শেষে অবশ্যই যে স্থানে আপনি তদন্ত করতে যাচ্ছেন সেখানকার একটা ম্যাপ যেন আপনার কাছে থাকে বা আপনার টিমের আছে থাকে তাহলে কাজটা করতে অনেক সুবিধা হবে আর বাড়ির একটা রাফ স্কেচ এর কথা তো আগেই বলেছি যদি বাড়ির প্লানিং ম্যাপ পাওয়া যায় তাহলে আরো ভালো হয় যা আগে থেকে একটু হোম ওয়ার্ক এর মতন করে দেখে নেওয়া দরকার কারণ এর ফলে কাজ করার সময় কোন কনফিউশন সৃষ্টি হবে না যে কে কোথায় আছে


আত্মা দর্শনের রকমফের

 

কোন বিশেষ জায়গায় তদন্ত করতে গিয়ে একজন প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর নানা ধরনের ত্মার আবির্ভাব দেখতে পারেন।  কানে আসতে পারে নানা রকম শব্দ। কোথাও   বছরের নির্দিষ্ট কোন দিনে আর তাদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারা যায়।  আবার কোথাও দেখতে পাওয়া যেতে পারে একজোড়া পা বা মাথা বিহীন কোন মহিলাকে। আসুন এবার আমি আপনাদের   জানাই খুব পরিচিত কিছু আত্মা আবির্ভাবের কথা যা একজন প্যারানরমাল  ইনভেস্টিগেটর  তদন্ত করতে  গিয়ে দেখতে পান।

 

 রিসাইডুয়াল এনার্জি

  যে ঘটনার সাথে যত বেশি আবেগ দুঃখ জড়িয়ে থাকে সেখানে আত্মা অবস্থানের এনার্জি বা শক্তির পরিমাণ সময়ের সুতোয় বেশি থেকে যায় তার মানে আবার এটাও নয় যে প্রত্যহ দিনের যে জীবনযাত্রা তা তার ছবি অতীতে সেভাবে থাকে না বা কোন সেনসিটিভ মানুষ সেটাকে অনুভব করতে পারে না কিন্তু যেখানে ওই আবেগের ব্যাপারটা বেশি থাকে সেটাকে অনেক বেশি অনুভব করা যায় কারণ সেখানেই এনার্জি ঘনত্ব বাড়ে।    উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যে বাড়িতে কোন রকম খুনের ঘটনা ঘটে সেখানে আমি যখন গিয়েছি আমার শরীরে আতঙ্কের একটা স্রোত বয়ে গিয়েছে বা আমি সেই আতঙ্কটাকে   অনুভব করতে পেরেছি অনেক বেশি পরিমাণে।    সঙ্গে সঙ্গেই আমার নিজস্ব প্রতিরক্ষার বা সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি না হলে মানসিকতা বিভ্রান্ত হতে পারে। আবার আমি সেরকম বাড়ির ভেতরে ঢুকেছি যেখানে সেই অর্থে কোনরকম অনুভূতি পাইনি। কিন্তু   সেসব জায়গাতে   সাইকিক পদ্ধতিতে বিগত দিনের থাকা মানুষদের প্রাত্যহিক জীবনের নানা ছবি অনুভব করেছি একবার একটা পুরনো তুলোর কারখানায় গিয়েছিলাম যেখানে মেশিন চলার  আওয়াজ আমি শুনতে পেয়েছিলাম এবং আমার উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত দিব্যদৃষ্টি সহায়তায় আমি দেখতে পেয়েছিলাম   মহিলা এবং শিশুরা সেখানে কাজ করছে । এই রিসাইডুয়াল এনার্জি  যে কোন বস্তুর ওপরে তার প্রভাব ফেলে একজন সেনসিটিভ মিডিয়াম কোন একটি বস্তু স্পর্শ করে, সেটা কোন গয়না হতে পারে বা বই হতে পারে বা কোন আসবাবপত্র,  যার সাথে কোন না কোনদিন কোন মানুষের যোগাযোগ ঘটেছিল সেটাকে অনুভব করতে পাররেন।    সেই মানুষটি এ জগতে থাকুন বা অন্য জগতে তার এনার্জির ছাপ কিন্তু থেকেই যায়।

 অ্যানিভার্সারি ঘোস্ট

 বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে যে সমস্ত আত্মাদের আবির্ভাব ঘটে সেই সমস্ত ভূতেদের বা তাদের আত্মাদের এই তালিকায় ফেলা হয় টাওয়ার অফ লন্ডনে এরকম দুজন বিখ্যাত অ্যানিভার্সারি ঘোস্ট প্রত্যেক বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাদের উপস্থিতি জানান দেন।   প্রচলিত কাহিনী অনুসারে শোনা যায় প্রত্যেক বছর বারোই ফেব্রুয়ারি সাদা অবয়ব নিয়ে  আবির্ভূত হন লেডি জেন গ্রে। ওই দিনটা ছিল তার মৃত্যুদণ্ডের দিন  স্যালিসবুরির কাউন্টেস মার্গারেটকে দেখেতে পাওয়া যা  প্রত্যেক বছর সাতাশে মে তারিখে।    তাকেও ওখানেই খুন করা হয়েছিল

 উনিশে শে মে তারিখে নরফোক ব্লিক্লিং হলের দিকে ছূটে যেতে দেখা যায়    মাথাবিহীন ঘোড়াদের টানা একটি গাড়িকে। দেখা যায় ভেতরের  আরোহিনীকেও । অ্যান বোলিন। যিনি নিজের   কাটা মাথাটা কোলে নিয়ে বসে থাকেন উনিশে মে তার মুন্ডচ্ছেদ করা হয়েছিল তিনি যেখানে যান সেই ব্লিক্লিং হলে এলাকাতেই একদা ছিল তার জন্মস্থান

  অষ্টম হেনরি স্ত্রীদেকেও এইরকম অ্যানিভার্সারি ঘোস্ট হিসাবে দেখতে পাওয়া যায়

১৫৪১ সালের চৌঠা নভেম্বর  ক্যাথারিন হাওয়ার্ড কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গিয়েছিলেন তার স্বামীর কাছে প্রান ভিক্ষা লাভের জন্য। হ্যাম্পটন কোর্ট প্যালেসের হ্নটেড গ্যালারী নামেই সেই স্থানটাকে     ইদানীংকালে মানুষ চেনে   প্রত্যেক বছর তার ভূতুড়ে অবয়বকে নাকি ওই স্থান দিয়ে ওই দিনে   ছুটে যেতে দেখা যায় । 

গ্লাস্টনবুরিতে ক্রিসমাস ইভে প্রত্যেক বছর ভুতুড়ে যাজকদের দেখা যায়। আবার এরকম ঘটনাই শোনা যায় এসেক্সে বোরলে রেক্টরিতেও । সেখানে অবশ্য একজন নানকে হেঁটে যেতে দেখা যায়   প্রতিবছর আঠাশে জুলাই তারিখে।

একত্রিশে   অক্টোবর এর দিনটা অ্যানিভার্সারি ঘোস্টদের জন্য এক বিশেষ দিন। কারন ওটা হ্যালোইনের দিন ।  ই দিনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকদের বোর্নমাউথ শহরের টাউন হলে মদ্যপান করতে যেমন দেখা যায়,    তেমনি হার্টফোর্ডশায়ারে হিচীনের কাছে এক ভাঙা চ্যাপেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে ভুতুড়ে যাজকদের হেঁটে  আসতে দেখা যায়

 বাস্তবিকপক্ষে সারা পৃথিবী জুড়ে ভূতেদের কে ওই বিশেষ দিনে নানান জায়গায় আবির্ভূত হতে দেখা যায় আমি আজ অব্দি এরকম কোন অ্যানিভার্সারি ভূত দেখার জন্য বিশেষ স্থানে বিশেষ দিনে যানি তবে অন্যান্য দিনে সেসব স্থানে ভ্রমণ করেছি এবং কিছু কিছু স্থানে তাদের এনার্জি অনুভূতি লাভ করেছি  । অর্থাৎ তাদের কিছু মাত্র হলেও উপস্থিতি ওইসব স্থানে আছে বলেই আমার মনে হয়েছে সব সময় মনে রাখতে হবে এইসব অ্যানিভার্সারি ঘোস্টদের বেশিরভাগটাই বানানো গল্প।এসবের পেছনে আদৌ কোনো সত্যি ঘটনা নেই এবং যদি থেকেও থাকে তাহলে সময়ের অতলে সেসব কবেই মিলেমিশে হারিয়ে গেছে

 ক্রাইসিস ঘোস্ট

এই ধরনের ভূত বা আত্মাদের পেছনে যে থিয়োরী প্রচলিত আছে সেটা হল, কোন অতিরিক্ত মাত্রার আবেগের মুহূর্তে যদি কারো মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির আত্মা নিজেকে ওই এলাকায় সংবদ্ধ করে রাখে তার চেনা জানা জীবনের সাথে মিশে থাকার জন্য এরকম অনেক ঘটনার কথা জানতে পারা যায় যেখানে অনেক মানুষ তাদের প্রিয়জনকে মৃত্যুর পর দেখতে পেয়েছে অথবা যখন কেউ মৃত্যুর দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে বা  কোন সাংঘাতিক ভয় পেয়েছে বা বিপদে পড়েছে সেই সময় সেই মানুষটাকে তার চেনা পরিচিতরা দেখতে পেয়েছেন। অর্থাৎ স্নগক্ট মুহূর্ত উপস্থিত হলে এদের আবির্ভাব ঘটে।

এরকমই একটি ঘটনা জানাই আপনাদের। বিখ্যাত লেসলী পরিবারের নরম্যান লেসলী প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এভাবেই দেখা গিয়েছিল ব্যাঙ্ক অফ দ্যা লেকে   তার বাড়িতে কাউন্টিতে আয়ারল্যান্ডের মোনাঘান কাউন্টিতে লেস লী ক্যাসেলে আবির্ভাব হয়েছিল তার।  ওই দুর্গে  যারা কাজ করত তারা ভেবেছিল যে, উনি  হয়তো হঠাৎ ছুটি নিয়ে   বাড়ি ফিরে এসেছেন । ওরা উনার ঘর সাজানোর কাজে লেগে যায়। সব কিছু সেরে যখন ফিরে আসে তখন আর নরম্যানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।    এক সপ্তাহ পরে তার মা একটি টেলিগ্রাম পাযন।  যার থেকে জানা যায় লেসলী মারা গেছে ফ্রান্সের এক যুদ্ধে ক্ষেত্রে।

 

সেই সমস্ত ভূতেরা যারা দেয়াল ভেদ করে যেতে পারে

এই ধরনের ভূতেদের দেখতে পাওয়া যায় অনেক পুরনো দিনের বাড়িতে যা প্রায় শতাব্দী প্রাচীন এবং সেই ধরণের বাড়ি যার ‘কাঠামো’ গত ভাবে  আকার আকৃতি এবং গঠনের পরিবর্তন করা হয়েছে হয়তো মেঝের উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে অনেক সময় ভূতেদের গোড়ালির নিচের অংশটা দেখতে পাওয়া যায় না অথবা কোথাও কোনো একটি দরজা ছিল সে দরজাটা বন্ধ করে অন্য জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু সেই ভুটাতো তার সময়ের ছবিতেই অভ্যস্ত।  নিজ অভ্যাস মত সে আসল দরজা দিয়েই যাতায়াত করে যার ফলে বর্তমান সময়ের মানুষেরা তাকে দেয়াল ভেদ করে যাতায়াত করতে দেখে।  

আমি নিজে এরকম একটা পুরনো বাড়িতে গিয়েছিলাম যে বাড়িটা দারুণভাবে ভাঙাচোরা করে

রি-মডেলিং করা হয়েছিল।  ঘর বা দেয়ালের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছিল। একদিন আমি অবাক হয়ে দেখলাম বাড়িতে  বসার ঘরের ভেতর দিয়ে ঘোড়ায় টানা গাড়ি চলে গেল।   সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার যেটা দেখেছিলাম ঘোড়াগুলোর পেটের উপর থেকে বাকি অংশটা দেখা যাচ্ছে। পা নেই কোনোটারই। এই সূত্র ধরে আমি যখন ওই স্থানের ইতিহাসের তথ্য খুঁজতে শুরু করি আমি জানতে পারি যে, বাড়িটায় নানা রকমফের  করা হয়েছে কোন কোন জায়গায় বাড়িটাকে বাড়ানো হয়েছে  যখন সেই স্থানের পুরনো ম্যাপ দেখি তখন বুঝতে পারি একদা ওই বাড়ির যেখানে অবস্থান সেখানে একটি রাস্তা ছিল অর্থাৎ ওই রাস্তা দিয়েই চলে যাওয়া ঘোড়ার গাড়ির ছবি আমি দেখতে পেয়েছি, যা সময়ের সুতোয় আটকে বসে আছে আর সেই রাস্তা থেকে ওই বাড়ির মেঝে বর্তমানে   অনেকটাই উঁচু হয়ে যাওয়াতে কেবলমাত্র আমার চোখে ঘোড়াদের পেটের পরের অংশটা দৃশ্যমান হয়েছে, পাগুলো দেখতে পাইনি

 স্পিরিট পিপল

  বিভিন্ন ধরনের একক আত্মা বা ভূত যেমন আছে, তেমন একসাথে থাকা একাধিক  মানুষের আত্মার অবস্থানও আছে। এদেরকেই স্পিরিট পিপল বলে অভিহিত করা হয়।    যাদের সাথে আমার দেখা হয়েছে এরা কোন একটি বাড়ি সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে যেখানে তারা বারবার ফিরে আসে এই সমস্ত অতীত-মানুষদের সঙ্গে আমি সরাসরি যোগাযোগ করতে পেরেছি অথবা আমার এই জগতের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে যে পথপ্রদর্শক হয়েছিল সেই স্যা মধ্যস্থতা করেছে ওদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে। আমি কাজ করেছি মধ্যস্থতাকারীর।  এই জগতের খবর আমার সূত্র দিয়ে   তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে স্যাম এবং তাদের তথ্য আমার কাছ থেকে নিয়ে এই জগতে বসবাসকারী মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ওরাও   আমার আপনার মতই জীবন যাপন করে। আসলে একটা সত্যি কথা কি জানেন, মৃত্যু বলে কিছু নেই আমরা সবাই একটা আত্মাদের জগতের ভেতরেই বসবাস করি শুধুমাত্র শরীর নিয়ে আমরা এই জগতে কিছুটা সময় বেঁচে থাকি । এই স্পিরিট পিপলেরা এই জগতের যে কোন জায়গায় যেতে পারে। এমন কোনো বাড়ি যেখানে তারা একদা বাস করেছিল অথবা তাদের বন্ধু বান্ধবদের বাড়ি।    চাইলে তারা পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারে এমনকি তারা তাদের পুরনো সহকর্মীদেরকে নিয়ে সেই স্থানে একত্র হতে পারে    যেখানে তারা কোনদিন কাজ করেছিল শুধুমাত্র এটা দেখার জন্য যে সেই জায়গাটা বর্তমানে কি অবস্থায় পৌঁছেছে তারা চাইলে কোন থিয়েটার হলের মধ্যে যেতে পারে এবং সেখানে কোন প্রিয় মানুষের সঙ্গে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন আত্মাদের এই জগতে  বাধা দেয়ার মতন কেউ নেই ওরা চাইলে যেখানে খুশি যেতে পারে। কারোর ক্ষমতা নেই ওদের আটকানোর। 

৩য়, ৪র্থ ও ৫ম পর্ব লিঙ্ক

https://amarkolponarjogot.blogspot.com/2020/06/blog-post_12.html