ছবি আঁকার পাশে পাশেই চলে আমার লেখা লিখি। অনুবাদ করার নেশার সাথেই আছে সাইফাই এবং অতিলৌকিক ধরনের গল্প লেখার চেষ্টা । বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং ফেসবুকে প্রকাশিত গল্প গুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসা্র প্রয়াস এই ব্লগ। আপনাদের পাশে পাবো আশা রাখছি...
Search This Blog
Saturday, January 18, 2020
Tuesday, January 14, 2020
লাভক্র্যাফট অমনিবাস ট্রিভিয়া
বিগত দু'বছরের বেশি সময় ধরে লাভক্র্যাফট অনুবাদের ফসল ফলেছে ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৯ এ বেঙ্গল ট্রয়কা প্রকাশনীর হাত ধরে। প্রকাশিত হয়েছে আমার অনুবাদ করা ৩০টি গল্পের সংকলন । লাভক্র্যাফট অমনিবাস নামে। সেই ত্রিশ গল্প বিষয়ে খুচরো তথ্যের ফ্ল্যাশ কার্ড রইলো আপনাদের জন্য। আশা করছি এগুলো পড়ে আপনাদের মূল গল্পগুলো পড়ার ইচ্ছে জাগবে এবং বইটি সংগ্রহ করবেন।
ধন্যবাদ । বইটি কেমন লাগলো সে বিষয়ে সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় রইলাম ।
আপনাদের আগ্রহের ওপরেই নির্ভর করবে এই অমনিবাসের দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশ হওয়া।
Monday, January 13, 2020
বিড়াল জগত ১ ও ২
বিড়াল
জগত - ১
প্রতিম
দাস
বিড়াল
নামটা শুনলেই আমাদের মনে বাড়ীর আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো ছোট্ট প্রানীগুলোর কথা মনে
পড়ে। কারোর কাছে তারা পছন্দের জীব কারো কাছে নয় । তবে একটা কথা এই প্রসঙ্গে বলা
ভালো বিড়াল আসলে একটা গোত্র । যে গোত্রের প্রানীদের একটি প্রজাতি এই ছোট আকারের
বিড়ালেরা। যাদেরকে আমরা পোষ্য বানিয়েছি । বর্তমান পৃথিবীতে ৩৭ ধরনের বিড়াল দেখা মেলে । যাদের মধ্যে বেশির ভাগেরাই জঙ্গলের অধিবাসী ।
এই পৃথিবীতে ছোট বড় যত রকমের বিড়াল দেখা যায় তারা সবাই প্রিডেটর বা শিকারি । এদের শরীরটা এমনভাবে তৈরি হয়েছে যাতে তারা তাদের শিকারকে ঠিকমতো খুঁজে বার করতে, তাকে তাড়া করতে এবং হত্যা করতে সক্ষম হয় । অন্যান্য শিকারী পশুদের তুলনায় বিড়াল জাতীয় প্রাণীরা মাংস খেতে বেশী পছন্দ করে । প্রানীজগতের খাদ্য
পিরামিডের সর্বোচ্চ স্থানে থাকা এই শিকারি প্রাণী তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে বুদ্ধিমান, দেখতেও সুন্দর এবং অ্যাথলেটিক শরীরের অধিকারী । এদের একটা গোত্র বাড়ির পোষা সদস্যতে পরিণত হলেও স্বভাবে তারা আজও
অন্যান্য বড় বিড়ালদের মতোই শিকারীই বলা যায় । বড় বিড়ালেরা বাসস্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে সেই সমস্ত জায়গা, যেখানে তারা স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে পারে ।
বিড়াল গোত্রের সব প্রাণীরাই স্তন্যপায়ী । শারীরিক ভাবে সকলেই যথেষ্ট শক্ত সমর্থ । একইসাথে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং সবাই গাছে উঠতে সক্ষম । মুখ গোল আকৃতির এবং নাক থ্যাবড়া ও ছোট । দাঁতগুলো বিশেষভাবে মাংস ছিঁড়ে খাওয়ার মতন করেই তৈরি । আরো একটা কথা না বললে নয়, সব বিড়ালের দৃষ্টিশক্তি অসাধারণ মানের ।
বাঘ শুধুমাত্র বড় বিড়াল তাইই নয় একই সাথে সবচেয়ে বড় মাংসাশী প্রাণী বা বলা যেতে পারে, বাঘ হলো সবচেয়ে বড় মাংসখেকো প্রাণী যে স্থলভাগে বসবাস করে । সমস্ত বাঘেদের প্রজাতির ভেতর সাইবেরিয়ান বাঘেরা সবচেয়ে বড় আকারের হয় । এদের ওজন ৩৫০ কেজি এবং লম্বায় ৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে ।
আমেরিকার সবচেয়ে বড় বিড়াল হলো জাগুয়ার । এরা ২.৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ওজন ১৫৮ কিলোগ্রাম অবধি নথিভুক্ত হয়েছে । একই সাথে এরা পৃথিবীর তৃতীয় সবচেয়ে বড় বিড়াল । জাগুয়ার এর গায়ে যে ছাপ দেখতে পাওয়া যায় সেটা অনেকটা গোটাকয়েক গোলাপের পাপড়ির মত। যার মধ্যেখানে একটি ঘন ছোপ থাকে।
সিংহেরা একসাথে দল বেঁধে শিকার করে । এই দলকে ইংরেজিতে বলে প্রাইড । এই দলবদ্ধতার কারণেই এরা নিজেদের চেয়ে অনেক বড় মাপের কোন পশুকে শিকার করতে পারে । এমনকি বিড়াল গোত্রের অন্য প্রাণীদের কেও এরা ছাড়ে না । সিংহদের দলের একটি বিশেষ নিয়ম হলো, শিকারের পর পুরুষ সিংহ সবার আগে খায় । যদিও সিংহীরাই শিকারের ৯০ শতাংশ কাজটা করে ।
চিতা সেই অর্থে আকারে-প্রকারে খুব একটা বড় মাপের প্রাণী নয় । কিন্তু এরা এই জগতের অন্যতম সেরা শিকারি । নিজেদের নৈপুণ্য ও গতির কারণে এরা এই জায়গায় পৌঁছেছে । একই সাথে এদের শরীরে সেই অর্থে অন্যান্য বিড়াল গোত্রের প্রাণীদের মতো ওজনদার মাংসপেশী থাকে না । আর সেকারনেই এরা সবচেয়ে দ্রুত দৌড়াতে সক্ষম।
আজ থেকে ১০০০০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে স্যাবার টুথ গোত্রের বিড়ালেরা । স্মাইলোডন নামে পরিচিত এই প্রাণীদের আকার ছিল বড় একটা সিংহের মাপে । এদের সামনের দিকে যে দুটো বড় দাঁত আলাদাভাবে বেরিয়ে থাকতো সেগুলো অন্ততপক্ষে .২৫ সেন্টিমিটার লম্বা হতো বলে প্রমাণ পাওয়া যায় । মোটা চামড়ার কোন শিকারকে ঘায়েল করতে এই দাঁত যে খুব কাজে আসতো তাতে কোন সন্দেহ নেই ।
বড় বিড়ালদের দেখা মেলে মূলত আফ্রিকা ইউরেশিয়া এবং আমেরিকাতে । যেখানে একটি প্রাণী বাস করে তাকেই তার বাসস্থান বা হ্যাবিটাট বলা হয় । বড় মাপের বিড়ালেরা নিজেদেরকে অভিযোজিত করে নিয়েছে এই পৃথিবীর এক বিশাল এলাকা জুড়ে বসবাস করার উপযোগী করে। এরা রোদে পোড়া মরুভূমিতে যেমন থাকে তেমনই তুষার ঢাকা অরণ্যতেও এদের দেখা মেলে । যদিও বেশিরভাগ বড় মাপের বিড়ালেরা গ্রীষ্মপ্রধান দেশেই বসবাস করে । এর একটাই কারণ এইরকম এলাকায় খাদ্যের অভাব ঘটে না ।
উত্তর,
মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকাকে নিউ ওয়ার্ল্ড বলে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে । জাগুয়ার, অসেলট, মারগে এবং পুমা জাতীয় বিড়ালদের এই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় । জাগুয়ার আর পুমা মুলত আমেরিকা বা নিউ ওয়ার্ল্ড এর অধিবাসী । জাগুয়াররা জলাভূমি এলাকা এবং যে জঙ্গলে জলাশয় বেশি সেই স্থানে নিজেদেরকে বসবাসের উপযুক্ত করে তুলেছে । ব্রাজিলের অ্যামাজন এলাকায় এদের দেখা
পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি । এখানকার রেনফরেস্ট তাদেরকে অন্য শিকারি পশুদের হাত থেকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে । আরো উত্তর এবং দক্ষিণে দিকে বাস করে পুমারা । যেখানে অন্য বড় মাপের স্থলভাগের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সেভাবে দেখা পাওয়া যায়না। আর্জেন্টিনার একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত হয়ে উত্তর দিকে কানাডা অবধি এদের দেখা মেলে ।
বাঘেদের দেখা মেলে উত্তর এবং পূর্ব এশিয়ার খুব সামান্য এলাকাতেই । উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য থেকে সাইবেরিয়ার জঙ্গল এটাই ওদের মূল বাসস্থান । বর্তমানে অল্প কিছু জায়গাতেই এদের দেখা
যায়। মানুষ নিজেদের জন্য যত চাষ জমি এবং বাস জমির পরিমাণ মানুষ বাড়িয়েছে ততই এদের থাকার জায়গা কমে গেছে ।
কারাকল নামের এক ধরনের বিড়াল আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়ায় বসবাস করে । এরা ইঁদুর, খরগোশ, পাখি সহ নানান ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী শিকার করে ।
সাইবেরিয়ান বাঘের শরীর যেকোনো বিড়ালের তুলনায় মোটা লোম ও চামড়া দিয়ে ঢাকা থাকে। কারণ তাদের বাসস্থান পৃথিবীর অন্যতম সবচেয়ে শীতলতম এলাকা ।
[তথ্যসূত্র
500 facts Predators]
বিড়াল
জগত - ২
প্রতিম
দাস
সিংহ
নামক বিড়াল গোত্রের বাসস্থান মূলত আফ্রিকাতে । তবে দক্ষিণ এশিয়ার গির অরণ্যে এশিয়াটিক লায়ন প্রজাতির অল্প কিছু সিংহর দেখা মেলে ।
অনেক
অনেক বছর আগে এমন একটা সময় ছিল যখন আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া সব
একটা ভূখণ্ডের অংশ ছিল । এই বিশাল জায়গার অনেকটা জুড়েই আধুনিক
বিড়ালদের পূর্বপুরুষেরা ঘুরে বেড়াতো । একটা সময় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড এবং নিউগিনি অন্যান্য
মহাদেশ থেকে আলাদা হয়ে যায় । ওই সমস্ত এলাকায় সেভাবে কোন বিড়াল গোত্রের
প্রাণীর দেখা পাওয়া যায় না । সম্ভবত খাদ্য
সংগ্রহের তাড়নায়
সেখানে তাদের পূর্বপুরুষদের যাওয়ার মতন কোনো ঘটনা ঘটেনি ।
আফ্রিকা
অনেক বড় বড় বিড়ালের বাসস্থান । যার মধ্যে আছে চিতা, লেপার্ড এবং অবশ্যই সিংহ ।
সাভানা তৃণভূমির এলাকায় বাস করে সিংহেরা। ওই তৃণভূমির ঘাসের রং এর সাথে ওদের শরীরের
চামড়ার রঙ মিলমিশ খেয়ে দারুণভাবে সাহায্য করে লুকিয়ে থাকার জন্য । চিতাদেরও দেখা
পাওয়া যায় এই সাভানাতে । তবে দিনের বেলাতেই এরা নিজেদের শিকারের কাজটা সেরে
রাখে। কারণ সে সময় অন্যান্য বড় বিড়াল গোত্রের
প্রাণীরা বিশ্রাম নেয় । তার মানে অবশ্য এটাও নয় যে ওরা দিনে শিকার করেনা।
ভুলবশত
সিংহকে কিং অফ দা জঙ্গল বলা হয়। যদিও সিংহ বনের
রাজা নয় । সেই খেতাব আছে বাঘেদের দখলে । বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায় উঠে
এসেছে বিড়াল গোত্রের এই সদস্য । যার অর্থ
আমরা যদি ঠিকভাবে এদের সংরক্ষণের দিকে নজর না দিই তাহলে একদিন এদের আর দেখতেই
পাওয়া যাবে না । বাঘ বিড়ালদের মধ্যে অন্যতম
সবচেয়ে বড় আকৃতির সদস্য এবং বর্তমান সময়ে এদের দেখা পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের
ব্যাপার । এদের বসবাস গভীর অরণ্যে
যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না বলা যায় । সেই আলো ছায়াতে
এরা লুকিয়ে থাকে নিজেদের গায়ের অদ্ভুত ডোরাকাটা দাগ এর সহায়তায় । বাঘেরা মূলত রাতেই শিকার করে । চুপিসারে এগিয়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার শিকারের ওপর । প্রতি রাত্রে কয়েক
কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এরা ঘুরে বেড়ায় । একটাই কারণ শিকারের
খোঁজ করা। হরিণ, গবাদি পশু থেকে সরিসৃপ
কিছুই বাদ যায় না এদের খাদ্য তালিকা থেকে । এমনকি সুযোগ পেলে ছোট হাতি বা গণ্ডারের বাচ্চাও শিকার করে ।
জলে
সাঁতার কাটতে বাঘেরা খুব ভালোবাসে । এদেরকে জলাশয়ে ডুবে বসে থাকতে বা নদীতে সাঁতার কেটে
নিজেদের শরীরকে শীতল করতে প্রায়শই দেখা যায় । খুব ভালো সাঁতারু হওয়ার কারণে এভাবেই অনেকটা
রাস্তা সুযোগ পেলেই তার পার করে ।
বাঘ খুব শক্তিশালী শিকারি তবুও গড়পড়তা অন্তত কুড়িটা প্রাণীকে তাড়া
করার পরে তবেই একটা শিকার করতে পারে এরা । প্রতি পাঁচ বা ছয় দিন অন্তর একটা করে শিকার
করতে এদের দেখা যায় । একবারে প্রায় ৪০ কেজি অবধি মাংস খাওয়ার ক্ষমতা থাকে এদের ।
শিকার করা প্রানীর টাটকা মাংস খাওয়ার বেশ
কয়েকদিন বাদে আবার সেই শিকার এর কাছে ওই বাঘকে ফিরে আসতে দেখা যায় । অবশ্য এর মাঝে যদি না অন্য কোন মাংসাশী প্রাণী বাকি অংশটা খেয়ে ফেলে ।
ভারত এবং বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় এলাকা সুন্দরবনে বাঘের বাসস্থান । এখানে বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা ঘটে । যাদের মধ্যে একটি বিশেষ গোষ্ঠী মউলে বলে পরিচিত । এরা সুন্দরবন থেকে মধু সংগ্রহ করে । এই কাজ করতে গিয়ে অনেকে বাঘের হাতে পান
হারায় । এই আক্রমণ থেকে
বাঁচার জন্য ওরা বাঘ কে বোকা বানানোর চেষ্টা করে। যার ভেতর একটি পদ্ধতি হল মাথার
পিছন দিকে একটা মানুষের মুখোশ পড়ে নেওয়া । সুন্দরবনে বাঘের হাতে মানুষ শিকার
হওয়ার সুত্রে বেঙ্গল
টাইগারদের গায়ে নরখাদকের তকমা লেগে গেছে। কিন্তু
বাকিরা বাস্তবিক পক্ষে ওরা মানুষখেকো নয় । যদি না কোনো কারনে তাদের স্বাভাবিক শিকারের ক্ষমতা চলে যায় বা শিকারের অভাব ঘটে । তবে সরকারি নথি জানাচ্ছে ১৯৫৬ থেকে ১৯৮৩ সাল অবধি পনেরোশোর বেশী মানুষ একটি এলাকায় বাঘের আক্রমণে মারা গিয়েছিলো ।
দুটো
বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগের প্যাটার্ন খনো এক রকমের হয়না । কিছু সাদা বাঘের দেখা মেলে জঙ্গলে বা
চিড়িয়াখানায় । যাদের চামড়ার রঙ হলুদ হয় না । অ্যালবিনো বলেই এরা পরিচিত । যদিও এদের জন্ম হয় হলুদ চামড়ার বাবা-মায়ের সূত্রেই
। চামড়ার এই রংহীনতার কারণেই এরা
নিজেদেরকে জঙ্গলে ঠিকমতো লুকিয়ে রাখতে পারে না ।
ফলে সাদা বাঘ একমাত্র
চিড়িয়াখানা ছাড়া জঙ্গলের রাজত্বে বেশিদিন বেঁচেও থাকতে পারেনা ।
পশুদের
দাঁতের গঠন নির্ভর করে তারা কি ধরনের খাবার খায় তার ওপরে । স্বাভাবিকভাবেই বিড়ালদের লম্বা ধারালো দাঁত
থাকে সামনের দিকে, যাতে তার সাহায্যে তারা সহজে শিকার করতে পারে এবং মাংস ছিঁড়ে
খেতে পারে । একই সাথে কষের বা পেছনের
দিকের দাঁতগুলো যথেষ্ট শক্তপোক্ত হয় । মাংস ছিঁড়ে নেওয়ার পর যাতে চিবিয়ে খেতে
পারে ।
অন্য
পশুদেরকে শিকার করে ধরা, তাকে হত্যা করা এবং তার মাংস খাওয়া একটা কঠিন কাজ। এই কারণেই বিড়ালদের বিশেষ ধরনের দাঁতের সৃষ্টি হয়েছে । যার পারিভাষিক নাম ক্যানাইন । শিকারের শরীরে
বিঁধিয়ে কামড়ে ধরে রাখতে এই দাঁত অত্যন্ত
কার্যকরী ভুমিকা নেয় । এর পেছনে থাকে
কারনাসিয়াল নামের দাঁত । যা অত্যন্ত
ধারালো । শিকারের গা থেকে
প্রায় কাঁচির মতো মাংস কাটতে সহায়তা করে এই দাঁতগুলো।
লেপার্ডরা
গাছে চড়তে অত্যন্ত দক্ষ । শিকার করে এরা প্রায়শই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে গাছে উঠে যায় । কারণ একটাই, অন্য শিকারীদের হাত থেকে নিজের খাদ্য
বাঁচানো ।
ভালো
লাগলে অনুগ্রহ করে জানাবেন । উৎসাহ পাবো আগামীদিনে বিড়াল জগত থেকে আরো কিছু তথ্য
নিয়ে ফিরে আসার।
Subscribe to:
Posts (Atom)