উলথারে বিড়াল হত্যা নিষিদ্ধ
প্রতিম দাস
শোনা যায় স্কাই নদীর ওই পাড়ে
উলথার বলে যে জায়গা সেখানে কেউ বিড়াল হত্যা করে না।। ওদের একজন এখন আমার
ঘরে আগুনের পাশে বসে ম্রুদু ঘর ঘর শব্দ করছে । ওর দিকে
তাকিয়েই বলছি ওই কথাটা আমি সত্যি সত্যিই বিশ্বাস
করি । বিড়াল এক রহস্যময় প্রানী
এবং
অদ্ভুত সব ঘটনা যা আমরা দেখতে পাই না সেসবের সাথে ওদের সম্পর্ক আছে। ওরা
সুপ্রাচীন ইজিপ্টাস এর আধ্যাত্মিক আত্মার বাহক ।ওরা মেরোয়ে ও ওফির নামক ভুলে যাওয়া শহরগুলির কাহিনীর ধারক। আবার
ওরাই জঙ্গলের রাজার আত্মীয় ;
সাথে সাথেই অজ্ঞেয় আফ্রিকানদের গোপন
রহস্যের উত্তরাধিকারী। স্ফিংস ওদের তুতো ভাই। ওরা পারে সেই ভাষায় কথা বলতে যে ভাষায় স্ফিংসরা কথা
বলতো। যদিও আমি জানি ওর বয়েস স্ফিংসের চেয়েও বেশী। ওই পাথরের দানব যা
ভুলে গেছে সব ওরা সেসব কথা মনে
করে রেখে দিয়েছে।
উলথারে, গ্রাম প্রধান দ্বারা বিড়াল হত্যা নিষিদ্ধ হওয়ার আগের এ কাহিনী। সেখানে
এক বৃদ্ধ অধিবাসী আর তার স্ত্রী থাকতো ।
যারা তাদের প্রতিবেশীদের বিড়ালগুলোকে ফাঁদ পেতে ধরতো আর মেরে ফেলতো। কেন
তারা এরকম করতো আমি জানি না । হয়তো রাতের বেলায় বিড়ালের কান্নার শব্দকে ওরা
ঘৃণা করতো বা ওই বিড়ালগুলো সন্ধের সময় ওদের বাগান বা বাড়ীর
এখানে ওখানে চোরের মত ঘুরে বেড়ায় এটা ওদের ভালো লাগতো না। কিন্তু যাই হোক না কেন, এই বয়স্ক দম্পতি তাদের বাড়ির কাছাকাছি আসা
প্রতিটি বিড়ালকে ফাঁদ পেতে ধরে হত্যা করার ব্যাপারটা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ
করতো। মজা পেতো। কোনো বিড়াল ধরা পড়েছে বোঝা যেত অন্ধকার রাত ঘনিয়ে আসার পর। ওই বাড়ী
থেকে ভেসে আসতো নানান হাড় কাঁপানো বিভিন্ন শব্দ। আর এর থেকেই গ্রামবাসীরা বুঝতে
পারতো যে বিড়াল হত্যার পদ্ধতিটি
অত্যন্ত বিদঘুটে নৃশংস ধরনের। যদিও
গ্রামবাসীরা কোনোদিন এ
ব্যাপার নিয়ে ওই বয়স্ক দম্পতির সাথে কোনো রকমের আলোচনা করেনি । এর কারণ ওই শুস্ক কাষ্ঠবৎ বলিরেখাগ্রস্থ
বেজার অভিব্যক্তির মুখ দুটোর দিকে তাকালেই মনটা কেমন অস্বস্তিতে ভরে যেত।
অপর কারন ওদের আকারে ছোট বাড়ীটার অবস্থান। ওক গাছের অন্ধকার ছায়ায় ঢাকা ঘরটার দিকে তাকালেই কোন এক অজানা
কারনে গা শিরশির করতো। সত্যি কথাটা হলো, বিড়ালদের মালিকেরা এই অদ্ভুত
লোকদুটোকে যত না ঘৃণা করতোতার চেয়ে ওদেরকে ভয় পেত অনেক
বেশী পরিমাণে। আর সে কারনেই ওই নৃশংস হামলাকারীদের সাথে কোন রকম ঝগড়াঝাঁটি করার পরিবর্তে নিজেরাই সতর্ক
থাকার চেষ্টা করতো। লক্ষ্য রাখতো যাতে নিজেদের পোষা কোন প্রাণী বা মার্জার ওই দূরবর্তী অন্ধকার
গাছের ছায়ায় ঢাকা ঘরটার কাছে না যায়। এসব
সত্বেও যখন কারোর বিড়াল হারিয়ে
যেতোএবং অন্ধকার রাত কাঁপিয়ে ভেসে আসতো তার করুন বিলাপ ;
তখনবিড়ালের মালিক এই ভেবে নিজের
মনকে সান্তনা দিতো -- কি আর করা যাবে বেচারা বিড়ালটা গেল । তাও বাঁচোয়া যে আমাদের
বাড়ীর কোন বাচ্চাকাচ্চা হারায় নি ।
উলথার এর লোকেরা ছিল
খুব সহজ সরল । ওরা জানতো না এসব বিড়ালেরা এখানে কবে কি ভাবে এসেছিল।
একদিন উলথারের সংকীর্ণ নুড়ি পাথর
বিছানো রাস্তায়দক্ষিণ দিক থেকে
এলো অচেনা রহস্যময় এক যাযাবরের
দল। দেখেই বোঝা গিয়েছিল ওরা অন্ধকারের শক্তির উপাসক ভ্রাম্যমান কাফেলা। মোটেই সেই সব
যাযাবরদের মতো নয় যারা প্রতি বছর দুবার করে উলথারের ভেতর দিয়ে যাতায়াত করে ।
হাট বাজারের জায়গা খুঁজে নেয় আর রুপোর বিনিময়ে
অজ্ঞেয় ভাগ্য গননা করে । আর নিজেরা কেনে চকমকে পুঁতির মালা ।
এই নতুন আগন্তুকদের
দেশ কোথায় ; কোথা থেকে এদের আগমন কারো
জানা ছিল না। শুধু শুনতে পাওয়া যেত ওদের অদ্ভুত রকমের সব ভাষায় প্রার্থনা। ওদের কাফেলার ওয়াগনগুলোতে কিম্ভুত রকমের সব ছবি আঁকা। ছবির অবয়বগুলির দেহ মানুষের কিন্তু গলার পরে কাঁধের উপরের জায়গায় বিড়াল,
বাজপাখি, ভেড়া আর সিংহের মাথা। দলটির যে
নেতা সে সব সময় মাথায় পড়ে থাকতো দুই শিং যুক্ত
একবিচিত্র
দর্শন মুকুট । শিং দুটোর মাঝে একটা গোল চাকতি আটকানো ।
নয়া কাফেলাটায় পিতা মাতাহীন একটা ছোট
ছেলে ছিল । যার সঙ্গী ছিল শুধুমাত্র একটা
ছোট্ট কালো বিড়ালের বাচ্চা। প্লেগ রোগ ওর
প্রতি ওর বাবা মার মতো সহানুভুতি দেখায় নি । নিয়তি শুধু ওর দুঃখকে
প্রশমিত করার জন্য এই ছোট লোমওলা প্রানিটিকে বাঁচিয়ে রেখে দিয়েছিল ওর সাথে। মানুষ যখন খুব ছোট থাকে তখন তার কাছে যে কোন জ্যান্ত প্রাণীই খুব পছন্দের
বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। আর সে যদি অনাথ হয় তাহলে টানটা বাড়ে আর বেশী পরিমাণে। ঠিক সেটাই
হয়েছিল এই কালো বিড়ালটার সাথে শিশুটির ।
অন্ধকারের উপাসক কাফেলাটার লোকেরা ছেলেটাকে মেনেস নামে ডাকতো । অলৌকিক সব ছবি আঁকা গাড়িটার ধাপে বসে সে যখন তার
বিড়াল বাচ্চার সাথে খেলা করতো তখন কান্নার থেকে ওর হাসিই বেশি শোনা যেত।
আগন্তুক দলটির উলথারে থাকার তৃতীয় দিনের সকালে বাজারের ভেতর থেকে মেনেসের চিৎকা র করে কান্নার শব্দ শোনা
গেল। জানতে পারা গেল মেনেস তার কালো বিড়ালের বাচ্চাটিকে খুঁজে পাচ্ছেনা ।
কয়েকজন উলথার নিবাসী ওকে বললো সেই বয়স্ক দম্পতির কথা। জানালো, গতরাতে অনেকেই
ঘর থেকে সেই অদ্ভুত শব্দগুলো শুনতে পেয়েছিল। এসব শোনার পর বাচ্চাটির কান্না থেমে
যায়। একবারে স্থির হয়ে যায় পাথরের মূর্তির
মতো, যেন কিছুর ধ্যান করছে। তারপর সেটা
বদলে যায় প্রার্থনায়, অপার্থিব
প্রার্থনা। হাত দুটো বাড়িয়ে দেয় সূর্যের দিকে । অজানা দুর্বোধ্য ভাষায় বলে যেতে কি সব যার
মাথা মুণ্ডু বুঝতে পারে না উলথারের অধিবাসিরা।
অবশ্য মন দিয়ে সে সব শব্দ শোনার থেকে ওখানে উপস্থিত জনতার মনোযোগের বেশির ভাগটাই চলে গিয়েছিল আকাশের দিকে । যেখানে অদ্ভুত আকৃতির কিছু মেঘ কোথা থেকে যেন ভেসে আসে। গোটা ব্যাপারটাই
অত্যধিক রকমের বিস্ময়কর ঠেকলেও ছোট ছেলেটির রোম খাড়া করে দেওয়া গোঙানির মতো
আবেদনের সাথে সাথে আকাশে ছায়াময় অস্পষ্ট
ধোঁয়াটে কিছুছায়াছবি মিলে মিশে যে এক অবয়বে
পরিণত হচ্ছিল সেটা প্রায় সবাই বলেছিল। এক অদেখা উৎকট সংকর প্রাণী যার মাথায় সেই
জোড়া শিং এর মুকুট...মাঝখানে একটা গোল, বহিরাগত চাকতি। একেবারে কাফেলার নেতার
মুকুটের মতো। কল্পনাপ্রবণ মনের চিত্তাকর্ষন
করতে প্রকৃতিতে না জানি এরকম কত
বিভ্রান্তিকর দৃশ্যের অবতারনা হয়। প্রকৃতি বড়ই মায়াময়।
সেইদিন রাতেই কাফেলাটা উলথার ছেড়ে চলে যায়। এরপরআর কখনোই ওদের দেখা যায় নি। একই সাথে উলথারের অধিবাসীরা অবাক হয়ে যায় এটা লক্ষ্য
করে সমস্ত গ্রামে একটিও বিড়াল আর দেখা যাচ্ছে না।
সব উধাও। যার যার নিজেদের পোষা বিড়ালগুলোর
ও কোনও পাত্তা নেই। বড়বিড়াল , ছোট
বিড়াল , কালো, ধূসর,
ডোরাকাটা, হলুদ বা সাদা কোনো বিড়ালই নেই।
বয়স্ক গ্রামপ্রধান
ক্র্যানোন বলেন পূর্বপুরুষের দিব্যি কেটে বলতে পারি, ওই মেনেস নামের বাচ্চা ছেলেটার
বিড়াল হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অন্ধকারের
অধিবাসিরা এ গ্রামের সব বিড়াল সাথে নিয়ে
চলে গেছে। ওই কাফেলা এবং ওই ছোট ছেলেটি অভিশপ্ত ছিল । যদিও শীর্ণকায় নিথ
মোক্তার মশাই বলেন, আমার কিন্তু ওই অন্ধকার গাছের ছায়ায় ঢাকা বাড়ির বয়স্ক দম্পতিকে
এই ব্যাপারটার জন্য বেশি সন্দেহ হয়। ওরাই
কিন্তু সব সময় বিড়ালদের ধরে ধরে মেরে
ফেলার জন্য কুখ্যাত। আর আমি এটাও লক্ষ্য করছিলাম দিনকে দিন ওদের সাহস বেড়েই চলছিল। এসব সত্বেও কারোর তরফ থেকে ওদের ওখানে গিয়ে
অভিযোগ জানানোর অভিপ্রায় লক্ষ্য করা গেল
না। এরপরে, সরাই খানা মালিকের ছোট্ট ছেলেটা দিব্যি কেটে
বললো যে, সে নাকি সন্ধে হয় হয় এমন সময় উলথারের সব বিড়ালগুলোকে ওই গাছের নিচের বাড়ীটার
দিকে যেতে দেখেছিল। ধীরে ধীরে একটা বৃত্ত
বানিয়ে ঘিরে ফেলেছিল বাড়ীটাকে, বিড়ালগুলো ।
ওর মনে হয়েছিল অজ্ঞাত কোন জান্তব রীতি মেনে ওরা ওই বাড়ীর মানুষ দুটোকে ঘিরে
ধরেছে।
উলথারের অধিবাসীরা বুঝে উঠতে পারছিল না এই ছোট্ট ছেলেটার কথা বিশ্বাস করা উচিত কিনা। আর যেহেতু ওরা ওই
দম্পতিকে ভয় পেতো তাই মনে করলো ওরাই মন্ত্র পড়ে সব বিড়ালগুলোকে নিজেদের বাড়ীর ভেতর
ডেকে নিয়েছে। এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে দরকার নেই বাপু । তার চেয়ে ওই পরিত্যক্ত
ছোট্ট অন্ধকারে ঢাকা ভুতুড়ে বাড়ীটা থেকে ওই মানুষদুটোর কেউ একজন যখন এদিকে
আসবে তখন তাকে জিজ্ঞেস করে নিলেই চলবে।
অতএব, কিছুই না করে মনের ভেতর একরাশ ক্রোধ পুষে রেখে উলথারের
মানুষজন যে যার নিজের বাড়ী ফিরে গিয়েছিল। ঘুমিয়েও পড়লেন রাত বাড়তেই। পরের দিন সকালে
ঘুম ভেঙে – গ্রামবাসীরা আর একবার চমকে যায় !
সব বিড়ালগুলো ফিরে এসেছে। যার যার নিজের বাসস্থানে। বড়
এবং ছোট, কালো, ধূসর,
ডোরাকাটা, হলুদ বা সাদা কোনোটাই বাদ যায়নি। সবগুলো ঠিকঠাক
ফিরে এসেছে। যেমনকার ছিল ঠিক তেমনি। একটা লোম পর্যন্ত খোওয়া যায়নি। আগের মতই ঘরঘর
করে আওয়াজ করছে আদর পেলেই। মানুষজন একে
অপরের সাথে এনিয়ে আলোচনা করছিল বটে কিন্তু এরকম কিছু যে ঘটেছিল সেটা আর বোঝা যাচ্ছিলো না।
বুড়ো ক্র্যানন কিন্তু জোর দিয়ে এটা
বলার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন যেঅন্ধকারের অধিবাসিরাই বিড়ালগুলোকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল । বয়স্ক দম্পতির ঘর থেকেও ওরা যদি ফিরে
এসে থাকে তাহলে ওগুলো একটাও জীবিত ফিরে
আসেনি। ক্র্যাননের কথায় পাত্তা না দিলেও একটা বিষয়ে সবাই একমত হয়েছিল । আর সেটা ছিল যথেষ্টই কৌতূহলজনক একটা ব্যাপার । বিড়ালগুলো নিজ নিজ অভ্যাস অনুসারে মাংস বা দুধ
খেতেই চাইছিল না। পরপর দুটো দিন উলথারের সবাইকে অবাক করে দিয়ে রোগা মোটা বিড়ালগুলো অলস ভাবে সময় কাটালো রোদে বা
আগুনের পাশে শুয়ে বসে। খাবার ছুঁয়েও দেখলো না।
প্রায় এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর গ্রামবাসীদের
নজরে এলো অন্ধকার গাছের ছায়ায় ঢাকা সেই ছোট্ট ভুতুড়ে বাড়িটার ভেতর থেকে আর আলো
দেখা যাচ্ছে না। এসময়েই হাড় জিরজিরে মোক্তার মন্তব্য করলেন যে, বিড়ালগুলো যে দিন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল সেদিনের
পর থেকে কেউ আর ওই বুড়ো বা তার স্ত্রীকে দেখেনি। আরো একটা সপ্তাহ পরে নিজের ভয়কে জয় করে, গ্রামপ্রধান নিজ
দায়িত্ব পালনের বিষয়কে মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিলেন - অদ্ভুতভাবে নীরব হয়ে থাকা বাড়ীটা একবার দেখতে
যাবেন । একা নয় অবশ্য । সাক্ষী রুপে সাথে ডেকে নিলেন স্যাং নামের কামার আর থুল
নামের পাথর খোদাইকরকে। গাছের ছায়ায়
ঢাকা ছোট্ট বাড়িটার দুর্বল দরজা ভেঙ্গে ওরা ভেতরে ঢোকার আগেই দেখতে
পেলেন:মেঝেতে পড়ে আছে মাংসহীন ঝকঝকে পরিষ্কার দুটো মানুষের কঙ্কাল। আর কিছু বিটল জাতীয় পোকা গুরগুর করে হেঁটে চলে
বেড়াচ্ছে ঘরের এক কোনা থেকে অন্য কোনার দিকে।
পরবর্তী সময়ে অনেক অনেক আলোচনা বিতর্ক হয়েছিল উলথার এর গ্রামপ্রধানের অভিজ্ঞতার
বিষয়ে। বিচারক জ্যাথ আর সেই শীর্ণকায়
মোক্তার নিথ এনিয়ে অনেক খোঁজ খবর চালিয়েছিলেন। ওদিকে ক্র্যানন, স্যাং আর থুলকেও ভেসে
যেতে হয়ে ছিল একাধিক প্রশ্নের বন্যায়। এমনকি সরাইখানার মালিকের ছোট ছেলে আতালকেও অনেক কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এবং বিনিময়ে কিছু
লজেন্স ওকে উপহার দেওয়া হয়।
মাঝে মাঝেই উলথারের মানুষজন আলোচনা
করতো সেই বয়স্ক দম্পতির বিষয়ে,অন্ধকারের উপাসকদের কাফেলার বিষয়ে । ছোট্ট মেনেস
নামের ছেলে আর তার কালো বিড়ালটার কথাও উঠে আসতো আলোচনায়।
বাদ পড়তোনা মেনেসের অদ্ভুত প্রার্থনা এবং আকাশের বুকে ঘটে যাওয়া অবিশ্বাস্য
ছায়াময়দের আচরণের বিবরনী। রহস্যময় কাফেলা গ্রাম থেকে বিদায় নেওয়ার রাতে বিড়ালগুলোর অজ্ঞাত
আচরণের কথাও কেউ ভোলেনি । সবচেয়ে বেশি
আলোচনা হতো অন্ধকার গাছের ছায়ায় ঢেকে থাকা বাড়িটার ভেতরে যা পাওয়া গিয়েছিল সেগুলোর
কথা।
অবশেষে উলথার এর গ্রামপ্রধান সেই উল্লেখযোগ্য অসাধারণ আইনটি পাস করেন; যার কথা বলেছিল হাথেগ এর ব্যবসায়ীরা
আর নির এর ভ্রমণকারীরা এ বিষয়ে মেতে গিয়েছিল জল্পনা কল্পনায়; যার মূল কথা উলথারে
বিড়াল হত্যা নিষিদ্ধ।
সমাপ্ত
The Cats of Ulthar
(1920)
** খুব শীঘ্র আসছে এইচ পি লাভক্রফটের সবচেয়ে জনপ্রিয়
দীর্ঘকাহিনী “The call of Cthulu” … এর বাংলা ভাবানুবাদ ‘সিথুলুর আহ্বান” ধারাবাহিক ভাবে **
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete